আপনার জমি, ঘর বানিয়ে দেবে তারা
নিজের জমিতে একটা স্বপ্নের বাড়ি বানাতে চান। টাকাও হয়তো জোগাড়যন্ত্র করা আছে। কিন্তু বাড়ি বানাতে ইট, বালু, রড, সিমেন্ট দেখে দেখে কেনা আর ঘোরার মতো লোকবল হয়তো আপনার নেই। তাই বছরের পর বছর পিছিয়ে যাচ্ছে বাড়ির কাজ। আবার ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানকেও দিতে চান না বাড়ির হিস্যা। এমন ক্ষেত্রে সাধারণত জমির মালিক খুঁজে বেড়ান এখন ঠিকাদার। যাঁরা এই মুশকিল আসান করবেন, বানিয়ে দেবেন আপনার বাড়ি।
তবে সেই অভিজ্ঞতা সবার যে খুব ভালো হবে, তা–ও না। কাজ হয়তো শুরু করেছেন, ঠিকাদারও শুরুতে উৎসাহ দেখাবেন, কিন্তু দিন যত এগিয়ে যাবে, কাজ সেভাবে না–ও আগাতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেটাই ঘটে। নিজে রাজমিস্ত্রি ঠিক করে কাজ করতে গেলেও একই অভিজ্ঞতা হতে পারে। যশোর সদরে সম্প্রতি নিজের দুই তলা বাড়ির কাজ শেষ করেছেন পারভেজ বিশ্বাস। বাবার কেনা জমিতে সেই বাড়ি করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটাই শোনালেন তিনি, ‘শুরুতে ভেবেছিলাম বাড়িটা চারতলা পর্যন্ত একবারে তুলে ফেলব। কিন্তু নিজের অফিস আর বাড়ির কাজ দুটো সামলাতে গিয়ে আমার জীবন থেকে তিনটা বছর নাই হয়ে গেছে। অথচ ভেবেছিলাম এক বছরে শেষ হয়ে যাবে চারতলা। মিস্ত্রিদের পেছনে লেগে না থাকলে কাজ করানো কঠিন। তাই তিন বছর পর দুই তলার বেশি করার সাহস হলো না।’
পর্যাপ্ত লোকবল থাকলে এভাবে হয়তো বাড়ি করা সহজ ও সাশ্রয়ী। কিন্তু যাঁদের পারভেজ বিশ্বাসের মতো লোক নেই, তাঁদের বাড়ির কী হবে? অনেক সময় নগর–মহানগরে স্বনামধন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই কাজ করে থাকে। আবার নতুন ধরনের প্রতিষ্ঠানও তৈরি হচ্ছে, যারা আপনার বাড়ির কাজ করে দেবে আপনার বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই। এমন একটি প্রতিষ্ঠান ইজি বিল্ড। প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ব্র্যান্ডের এজিএম মো. এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘ভবন নির্মাণের সমাধান দিতে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে ইজি বিল্ড। আমরা মূলত পাঁচ ধরনের কাজ করি। বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল বিক্রি, হোম সার্ভিস (যেকোনো সংস্কারমূলক কাজ), বিল্ডিং ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন। এ ছাড়া নতুন শুরু হবে রিয়েল এস্টেটবিষয়ক সার্ভিস।’
সাধারণত একটি ১০ তলা ভবন তৈরি করতে ইজি বিল্ড দেড় থেকে দুই বছর সময় নেয়। তবে গ্রাহকের চাহিদামতো সময় কমবেশি হতে পারে বলে জানালেন এমদাদুল ইসলাম। এ পর্যন্ত সাতটি প্রকল্পের কাজ শেষ করেছেন তাঁরা। তবে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আর গ্রাহকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।