আরামের পোশাক পরবেন আফসানা

আফসানা ফেরদৌসীর ঈদের পোশাকে থাকবে চলতি ধারার কাট

ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসীর ঈদ পোশাক হবে আরামের। পাশাপাশি দেবে উৎসবের আমেজ, সাজও হবে তেমন।

‘রমজানের ওই রোজার শেষে’ এবারও আসবে ঈদ। গত বছরের মতো এবারও হয়তো ঘরেই কেটে যাবে পুরোটা সময়। ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসীও ঈদের দিন কাটাবেন ঘরে। তাই তাঁর ঈদ পোশাক হবে এমন, যা তাঁকে স্বস্তি দেবে। পাশাপাশি দেবে উৎসবের আমেজ, সাজও হবে তেমন।

দিনের জন্য হাতাকাটা টপ আর প্যান্ট

ঈদে আফসানা নিজের ডিজাইন করা পোশাকই পরবেন। আফসানা ফেরদৌসীর ফ্যাশন ব্র্যান্ডের নাম ক্লদিং। ঈদের দিন সকালে পরবেন টেইলরড প্যান্ট আর হাতাকাটা টপ। সুতি ও লিনেন মেশানো কাপড়ে বানানো পোশাকটির প্যান্টে আছে পকেট, যা আফসানার ভীষণ প্রিয়। তিনি বলেন, ‘এতে করে কোথাও বের হতে হলে সহজে একটা মাস্ক পরেই বের হয়ে যেতে পারি। এক পকেটে ফোন আর অন্য পকেটে কিছু টাকা রাখা যায়। বাড়তি ব্যাগ নিতে হয় না।’ এর সঙ্গে গয়না বলতে কানে রুপা ও মুক্তার ছোট দুল। হাতে ঘড়ি আর পায়ে ডেনিমের জুতা। বাসাতেই যেহেতু থাকবেন, তাই হিল পরার কোনো মানেই হয় না বলে মনে করেন এই ডিজাইনার। মাঝে সিঁথি করে চুলগুলো ঝুঁটি করে ফেলবেন একদিকে।

রাতে খাদির ডোরাকাটা লম্বা পোশাক পরবেন আফসানা। এর সঙ্গে চুল খোলা রাখবেন। সাজ বলতে শুধু টিপ, কাজল আর লাল লিপস্টিক। যেকোনো দেশীয় পোশাকের সঙ্গে টিপ আফসানার খুব প্রিয়। আর চেহারায় উজ্জ্বলতা আনতে লাল লিপস্টিকই যথেষ্ট। ফেস পাউডারে অনীহা তাঁর। গরমকাল বলে কোনো সাজেই গলায় কিছু পরছেন না এই ডিজাইনার। তিনি বলেন, ‘গরমে গলায় কিছু পরলে অস্বস্তি লাগে। তাই গলাটা ফাঁকা রাখছি।’

এবারের ঈদেও কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা নেই আফসানার। তবে ঘরে বসে দিনটা সুন্দরভাবে কাটানোর কিছু উপায় ভেবেছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যস্ততার জন্য এখন আমরা অনেকের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন। তবে ফেসবুকের কারণে আমরা কাউকে মিস করি না, মনে হয় রোজই তো দেখছি।’ সেদিন ইচ্ছা আছে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে যোগাযোগ করার আর টিভি দেখার। এমনি সময়ে টিভি দেখাই হয় না। ঈদের সময়ে টিভি দেখার কিন্তু অন্য রকম একটা আনন্দ আছে।

এ পোশাকের সঙ্গে চুল থাকবে খোলা