ঘরের ভেতর গাছ রাখতে ভালোবাসেন আপনি ? একবার ভাবুন তো সেই গাছের ডালে বসে আছে দুটি পাখি। তার ওপরে দোল খেয়ে যাচ্ছে সবুজ পাতা। শহরের জীবনে যেখানে জানালা খুললে আকাশেরই দেখা পাওয়া ভার, শুধু চোখে পড়ে পাশের বাড়ির কংক্রিটের দেয়াল, সেখানে এমন দৃশ্যের কথা ভাবা তো কল্পনাই বটে। তবে জানেন কি ঘরের কোণে রাখা ছোট গাছেই এখন ফুটে ওঠছে প্রকৃতির এমন নান্দনিক রুপ। কি মনটা ভালো হয়ে গেলো নিশ্চয়ই।
দৃশ্যায়নের মাধ্যমে ঘরে রাখার গাছগুলোতে আনা হচ্ছে শৈল্পিক আবহ। অ্যাসথেটিক্সের অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু বলছিলেন, অন্দরসজ্জায় গাছ থাকবে না, এমনটি মনে হয় এখন কেউ ভাবতেই পারে না। আর তাই শুধু মেঝেতেই নয়, টেবিল, ঘরের কোনায়, জানালার গ্রিলে, ঘরের দেয়াল এমনকি সিলিং থেকেও ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের গাছ।
গাছ রাখার পাত্রটিতে কখনো কাঠের ওপর টেরাকোটা আবার কখনো সরাসরি গাছের ডাল দিয়ে দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের শিল্পকর্মের রূপ। সে জন্য মাটিসহ গাছটিকে টবে রাখার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিকের গ্লাস। এ ধরনের পাত্র ব্যবহারের সুবিধা হলো, পানি দেওয়ার সময় খুব সহজেই টবের ভেতর থেকে গ্লাসটিকে উঠিয়ে নেওয়া যায়। এতে করে টবের গায়ে পানি পড়ে তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। ঘরের ভেতরে রাখা গাছগুলো রোদে দেওয়া নিয়ে অনেকেই ঝামেলায় পড়ে থাকেন। এই ধরনের প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহারের ফলে খুব সহজেই গাছটিকে তুলে নিয়ে রোদেও দেওয়া যায়।
নান্দনিক এসব গাছ রাখার পাত্র পাবেন নন্দনযাত্রায়। রাস্তার ধারে পড়ে থাকা গাছের ডাল, পুরোনো মাছ ধরার জালের সুতা আর অব্যবহৃত কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি করা গাছ রাখার পাত্রগুলোর দামটাও থাকছে হাতের নাগালে। ২০০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যেই মিলবে এসব।
অন্দরসজ্জায় ব্যবহৃত এ রকম নান্দনিক আরও কিছু গাছের সন্ধান পেতে হলে যেতে পারেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের স্মার্ট হ্যান্ডিক্র্যাফটস, সীমান্ত স্কয়ারের পুষ্পিত সীমান্ত এবং বসুন্ধরা সিটির দেশি দশে। এসব দোকানে ২৫০ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার মধ্যে মিলবে আপনার পছন্দের গাছটি।