যানজটে গরমে সেদ্ধ হতে হতে কিংবা অফিসের মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপে কার মন না পালাই পালাই করে। মনে হয়, আহা দুরন্ত কোনো ঝরনার শীতল জলে যদি গা এলিয়ে দেওয়া যেত। কেমন হয়, যদি আপনার ঘরেই নিয়ে আসা যায় এমন একটি ছোট ঝরনা বা কৃত্রিম ফোয়ারা? অন্দরসজ্জায় কৃত্রিম ফোয়ারা নতুন কিছু নয়। ফোয়ারা কিন্তু শুধু ঘর সাজানোর সামগ্রী নয়, এর অনেক উপকারিতাও আছে। এই যেমন-যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা আছে, তারা চাইলেই ঘরে রাখতে পারেন এই ফোয়ারা। ফোয়ারা থেকে পড়া পানির ছন্দময় শব্দ ঘুম আনায় বেশ কার্যকর। এমনকি এ শব্দে কমে আসে মানসিক অস্থিরতাও।
এ তো গেল মনের কথা। ফোয়ারার পানি ঘরেও এনে দেয় শীতল আবহ। এই ভীষণ গরমে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়িয়ে দেয় ফোয়ারার পানি। তাতে ঘরের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমে গিয়ে তৈরি হয় একটি শীতল পরিবেশ। এ জন্য অবশ্য ঘরের আয়তন অনুযায়ী ফোয়ারা নির্বাচন করতে হবে। বড় ঘরে খুব ছোট ফোয়ারায় কাজ কম হবে।
ফোয়ারা রাখার সঠিক জায়গা নির্বাচনও জরুরি। ঘরের যেখানে ঠিকঠাক বাতাস চলাচল করে, সেখানে ফোয়ারা রাখুন। না হলে ফোয়ারার পানিতে ঘর স্যাঁতসেঁতে বা দেয়ালে ড্যাম্প পড়ার আশঙ্কা থাকে। তা ছাড়া বাতাস চলাচলের জায়গায় ফোয়ারাটি থাকলে বাতাস পানির সংস্পর্শে এসে ঘর ঠান্ডা করতে সহায়তা করবে। এ ক্ষেত্রে ফোয়ারা রাখার জায়গাটি হতে পারে বারান্দা, ছাদ বা জানালার পাশে।
ফোয়ারার আশপাশে রাখতে পারেন বেশ কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট, ছড়িয়ে দিতে পারেন কিছু ফুলের পাপড়ি। তবে ফোয়ারা নিয়মিত পরিষ্কারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন শ্যাওলা না পড়ে। এ ছাড়া তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে দেওয়া লাগতে পারে পানি।