ঘুরে এসে
চায়ের দেশে গ্র্যান্ড বেড়ানো
২৫ ডিসেম্বর ৮ বছর পূর্ণ করবে সিলেট বিভাগের ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ। কর্তৃপক্ষের আন্তরিক আতিথেয়তার পাশাপাশি আছে নানা রকম সুবিধা এবং নান্দনিক সবুজের মনোরম দৃশ্য
চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল। দুই পাশে চা-বাগান আর পিচঢালা পথে যত দূর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমারোহ। যাঁরা ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে শ্রীমঙ্গল এখন এক জনপ্রিয় বেড়ানোর জায়গা। সবুজে ঘেরা এই অঞ্চলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এর কাছাকাছি জায়গায় গড়ে উঠেছে সিলেট বিভাগের প্রথম ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ। ২৫ ডিসেম্বর ৮ বছর পূর্ণ করছে এই হোটেলটি। ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গ্র্যান্ড সুলতান।
২৮ নভেম্বর শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের উদ্দেশে রওনা হই আমরা ১০ জনের একটি দল। প্রথম আলোর ফিচার পাতা নকশা ও বর্ণিল বিয়ে ২০২১ ম্যাগাজিনের ফটোশুটের জন্যই মূলত আমাদের এই যাওয়া। যদিও কাজের জন্য যাওয়া, তবে চায়ের দেশে যাওয়ার আনন্দ ছিল সবার চোখেমুখেই। শ্রীমঙ্গলের প্রবেশমুখের দুই পাশে সারি সারি চা-বাগান মুগ্ধ করে আমাদের। তবে আরও বেশি মুগ্ধতা নিয়ে অপেক্ষা করছিল সিলেট বিভাগের ভানুগাছি-কমলগঞ্জ সড়কে গড়ে ওঠা হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ। রিসোর্টটির মূল ফটক পার হতেই সবুজের গালিচা যেন চোখে স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়। দুই দিকে যত দূর চোখ যায়, শুধুই দেখা চা-বাগান। প্রায় দুই লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে চা-বাগানের বুকে গড়ে উঠেছে এই রিসোর্ট। আটতলা ভবনজুড়ে গড়ে ওঠা এই রিসোর্টে আছে ১৩৫টি কক্ষ। হোটেলে প্রবেশ করতেই হোটেল কর্তৃপক্ষের আন্তরিক আতিথেয়তায় মুগ্ধ হতে হয়। রিসোর্টের ভেতরেই আছে বই পড়ার জন্য লাইব্রেরি। আছে স্পাসহ আরাম আয়েশের নানা ব্যবস্থা। এ তো গেল রিসোর্টের ভেতরের গল্প। বাইরেও আছে অনেক কিছু। ছোটদের জন্য আছে কিডস জোন, যেখানে হাসি-আনন্দে খেলে বেড়াচ্ছে শিশুরা। গলফের পাশাপাশি আছে সুইমিং পুল ও জাকুজির ব্যবস্থা।
গ্র্যান্ড সুলতানের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এ জি এম) আরমান খান জানালেন, গ্র্যান্ড সুলতান নির্মাণের আগে সিলেট অঞ্চলে ফাইভ স্টার হোটেল ছিল না। শ্রীমঙ্গলে একদিকে চা-বাগানের অপার সৌন্দর্য, অন্যদিকে প্রবাসী-অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এই অঞ্চলে ট্যুরিস্টদের আনাগোনা সব সময়ই একটু বেশি ছিল। যে কারণে ফাইভ স্টার হোটেল এই অঞ্চলে প্রায় অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এই হোটেলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খাজা টিপু সুলতান।
বিশেষ বিশেষ দিবসে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট ও গলফে থাকে বিশেষ আয়োজন। উপলক্ষ অনুযায়ী খাবারের মেনু নির্বাচন করা হয় এসব দিনে। করা হয় তারকাদের অংশগ্রহণে কনসার্টও। এ ছাড়া ২৫ ডিসেম্বর গ্র্যান্ড সুলতানের ৮ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দিনজুড়েই থাকবে নানা রকম আয়োজন।
শুধু রেল বা সড়কপথেই নয়, গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এবং গলফে আছে হেলিকপ্টারে আসারও ব্যবস্থা। টিলার চূড়ায় আছে হেলিপ্যাড। চায়ের দেশে এমন নান্দনিক আতিথেয়তা পেতে ঘুরে আসতে পারেন গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফে। এমন নৈসর্গিক পরিবেশে সময়গুলো খুব একটা মন্দ কাটবে না আপনার।