ছোট্ট সুন্দর বৃক্ষরাজি

সব বয়সের মানুষের ভিড় ছিল বনসাই প্রদর্শনীতে। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
সব বয়সের মানুষের ভিড় ছিল বনসাই প্রদর্শনীতে। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

হিজলতলার পাশে ছোট এক কুঁড়েঘর। তার সামনে সবুজ মাঠ। গরুগুলো সেখানে ঘাস খাচ্ছিল একমনে। এই তো আমাদের চিরসবুজ বাংলা। কেমন হয় বলুন তো, সে এক টুকরা সবুজকে ঘরের কোণে ধরে রাখলে? কেউ বলবেন, এ যে কেবল স্বপ্নেই সম্ভব! বটের মতো আরও ছায়াঘেরা সব গাছের ছোট সংস্করণ রূপের দেখা মিলল বনসাই প্রদর্শনীতে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে রেডিয়েন্ট বনসাই সোসাইটির উদ্যোগে ঢাকার ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে হয়ে গেল তিন দিনের বনসাই প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেডিয়েন্ট বনসাই সোসাইটির সভাপতি গুলশান নাসরীন চৌধুরী।
গুলশান বলেন, ‘যাঁরা শহরে থাকেন, তাঁদের ছোট ছেলেমেয়েদের অনেকেই আমাদের দেশের বিভিন্ন গাছপালা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। তাই তাদের এসব গাছপালা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া বনসাইশিল্পের সঙ্গে সবাইকে পরিচিত করে তোলাও ছিল এ প্রদর্শনীর লক্ষ্য।’
প্রদর্শনীতে প্রায় ১০০ প্রজাতির বনসাই স্থান পায়। যার মধ্যে রয়েছে হিজল, পাকুড়, বাগানবিলাস, বট, নিম, ইপিল ইপিল, কতবেল, ফুকেনসহ দেশি-বিদেশি নানান বৃক্ষ। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এসব বনসাই কেনারও সুযোগ ছিল। প্রদর্শনীতে আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে বনসাই তৈরির কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন বনসাই শিল্পীরা।