খাবার টেবিলে হঠাৎ একজন শরীর মুচড়ে হাই তুললেন। কিছুক্ষণ পর অন্যদেরও একে একে হাই তুলতে দেখা গেল। কাউকে হাই তুলতে দেখলে বা কারও হাই তোলার আওয়াজ শুনলে অন্যেরও হাই ওঠে অজান্তে। ব্যাপারটা এমনই সংক্রামক।
তবে নতুন এক গবেষণা বলছে, অপরিচিত কারও তুলনায়
আত্মীয়স্বজনের মধ্যে এমন প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এটা সহানুভূতির নমুনা বা চিহ্ন। তবে সেখানে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি হাই তোলেন।
প্রচলিত ধারণায়, অন্যের প্রতি নারীর সহানুভূতি পুরুষের তুলনায় বেশি। কাছের মানুষের মনের অবস্থা নারীরাই বেশি অনুভব করতে পারেন। সম্ভবত এ কারণেই অন্যকে হাই তুলতে দেখে তাঁদেরও হাই তোলার প্রবণতা বেশি বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা।
গবেষকেরা বিভিন্ন উড়োজাহাজ, ট্রেন, রেস্তোরাঁ ও অফিসে চার হাজারের বেশি সত্যিকারের হাই তোলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখতে পান, কেউ হাই তুললে তাঁর কাছাকাছি অবস্থানে থাকা পরিচিত বা আত্মীয় বা বন্ধুস্থানীয় কেউ তিন মিনিটের মধ্যেই হাই তোলেন। এ ব্যাপারে নারী-পুরুষ উভয়েই স্বতঃস্ফূর্ত। তবে নারীরা অন্যকে হাই তুলতে দেখে প্রায় ৫৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হাই তোলেন। আর পুরুষের ক্ষেত্রে এই হার ৪০ শতাংশ। সহানুভূতিশীলতার পরীক্ষায় নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছেন।
রয়েল সোসাইটি ওপেন সায়েন্স সাময়িকীতে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ইতালির পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এলিজাবেত্তা পালাজি বলেন, নারীরা জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশি সহানুভূতিশীল। বিষয়টির জৈবিক কারণও রয়েছে। কারণ, মাতৃত্বের জন্যই নারীকে মমতা ও পরিচর্যার দায়িত্ব নিতে হয়।