নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রচারণা
২৮ নভেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। সেই উপলক্ষে ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে ক্রেয়নম্যাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ভেঙে দাও নীরবতার পাপচক্র’ শিরোনামের এক বিশেষ আয়োজন। এ সময় সহিংসতা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষেরা।
২৫ নভেম্বর নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে থিমেটিক ফটোশুট দিয়ে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়, যেখানে অংশগ্রহণ করেন মেহের আফরোজ শাওন, আজরা মাহমুদ, বুলবুল টুম্পা, আইরিন খান, সাদিয়া রোশনি সূচনা। এ উদ্দেশ্যে আরও আয়োজন করা হয়েছে ছবি প্রদর্শনীর। ইএমকে সেন্টারের অনলাইনে ফটো ও পেইন্টিংয়ের প্রদর্শনী চলবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এ আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কমিশনার শিরিন গাফফার, নার্গিস মাহতাব, ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শিরিন গাফফার বলেন, ‘দেশের যেকোনো প্রান্তে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকারের ৯৯৯ কল সেন্টার সার্বক্ষণিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নারীর সম্মান, অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।’
আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিতে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই। ক্রেয়নম্যাগের প্রতিষ্ঠাতা তানজিরাল দিলশাদ বলেন, ‘নারীর নীরবতার সুযোগ নিয়েই নির্যাতনের পরিধি বাড়ছে সমাজজুড়ে। নারী-পুরুষনির্বিশেষে সামাজিক সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে, কর্মক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।’
প্রচারণার শুরুতে আইক্যান ফাউন্ডেশনের আইরিন খানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ, আইনজীবী ও জ্যেষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপিকা নেহরীন মোস্তফা। ‘নারী আর শিশুরাই কি সহিংসতার সহজ শিকার’ শীর্ষক আলোচনায় আরও যোগ দেন মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের জাতীয় পরামর্শক সারাহ জিতা।
আবৃত্তি, সংগীত আয়োজন, পারফরম্যান্স আর্ট এবং আঁকা ছবির প্রদর্শনী শেষে মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।