হ্যারি স্টাইলস যতটা সংগীতজগতের তারকা, ঠিক ততটাই ফ্যাশন দুনিয়ার। অনেক তারকাই নিজের ফ্যাশন ব্র্যান্ড বাজারে এনে তারকাখ্যাতি দিয়ে আয় করেছেন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ। এই ধারণা এখন আর মোটেই নতুন নয়। সেলিব্রিটি বিউটি লাইনের দুনিয়ায় নিজের ব্র্যান্ড নিয়ে প্রবেশ করাটা ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। বাজারে আসছে হ্যারির বিউটি ব্র্যান্ড ‘প্লিজিং’। ১৫ নভেম্বর থেকে চলছে ‘পারফেক্ট পার্ল’ নামে নেইলপলিশের প্রি-অর্ডার।
একে একে আসবে গ্লিটার, সুগন্ধি, ত্বকের যত্নের নানা পণ্যসহ অন্য সব বিউটি প্রোডাক্ট। ডিসেম্বর থেকে হ্যারির এই বিউটি ব্র্যান্ড থেকে প্রোডাক্ট কেনা যাবে। এরই মধ্যে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় প্লিজিংয়ের ইনস্টাগ্রামে জুটে গেছে ১০ লাখ অনুসারী।
ব্রিট অ্যাওয়ার্ড, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডজয়ী ২৭ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই সংগীত তারকা একাধিকবার দেখা দিয়েছেন ভোগ ইউকে ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে।
ডেজড ডিজিটাল ডটকমকে নিজের ব্র্যান্ডের ঘোষণা দিয়ে হ্যারি বলেন, ‘জীবনভর খুব ছোট ছোট মুহূর্ত আমাকে ভীষণ আনন্দিত করেছে। হয়তো সেটা আকাশের তারা গুনতে গুনতে একটা রাত কাটিয়ে দেওয়া। অথবা ক্ষুধার্ত অবস্থায় একটা ঠিকঠাক খাবারে কামড় দেওয়া। আমি কখনো এই মুহূর্তগুলো ভুলব না। এই মুহূর্তগুলোই আমার ভেতরে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। আর এটাই আমার বিউটি ব্র্যান্ড প্লিজিংয়ের মূল কথা। জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তকে খুঁজে বের করা, সেগুলোকে উদ্যাপন করা, তুলে ধরা আর অন্যদেরও সেই মুহূর্তগুলো খুঁজেপেতে পাশে থাকা।’
হ্যারিকে ফ্যাশন আইকন বললে বিনয়ের সঙ্গে হ্যারি বলেন, ‘আমাকে ফ্যাশন আইকন বলা আমার খুবই হাসি পায়। আমি খুব সিরিয়াস মুখ করে মনে মনে হাসি। তবে আমি মনে করি, আমি ক্ষমতাবান, কেননা, আমি মানুষকে একসঙ্গে করতে পারি। আমি যখন গাই, কিছু মানুষ স্টেজের পেছনে আপনমনে এমনভাবে হাসি, ঠাট্টা, নাচ করে, যেন কেউ তাদের দেখছেই না। একটা ঘরে অনেক মানুষ, তারা আনন্দ করছে, সবাই সবাইকে ভালোবাসছে, এটা খুবই শক্তিশালী একটা দৃশ্য। আমি সেটা তৈরি করতে পারি। এ জন্য আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। আমাকে যদি স্টাইল আইকন বলা হয়, সেটা ভক্তদের ভালোবাসা। আমি সাহসের সঙ্গে কেবল আমি যা, তা-ই হতে চেয়েছি।’ নিজেকে কখন সবচেয়ে সুন্দর লাগে? উত্তরে হ্যারি বলেন, ‘মেডিটেশন করার পর, অথবা যখন আমি ঘুমিয়ে থাকি।’
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ‘ওয়ান ডিরেকশন’ ব্যান্ড গড়েন হ্যারিরা। ইতিহাসের অন্যতম সফল ভ্যান্ড এটি। এটিই প্রথম ব্রিটিশ ব্যান্ড, যার গান যুক্তরাষ্ট্রেও টপচার্টে থেকেছে। এটি ২০১৩ সালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ব্যান্ড। এয়ান ডিরেকশনের চার অ্যালবাম ‘টেইক মি হোম’, ‘মিডনাইট মেমোরিজ’, ‘ফোর’ ও ‘মেড ইন দ্য এএম’ পরপর চারটি অ্যালবামের চারটিই দখল করে ইউক বিলবোর্ডের টপচার্ট। মিডনাইট মেমোরিজ সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত অ্যালবামগুলোর একটি। বিশ্বব্যাপী এই ব্যান্ডের প্রায় সাত কোটি রেকর্ড বিক্রি হয়েছে। যা এই ব্যান্ডের কেউ কখনো কল্পনাই করেনি। ২০১৬ সালে এই ব্যান্ড ভেঙে যায়। এরপরই হ্যারি স্টাইলস মিউজিকের সঙ্গে সঙ্গে ‘স্টাইলিশ’ হওয়ার দিকে মন দেন। আর এবার তিনি অন্যদেরও স্টাইলিশ বানানোর দিকেও মনোযোগী হচ্ছেন।