ভয় নেই সবটাতে
প্রচলিত অনেক ধারণাই অবৈজ্ঞানিক, অহেতুক ভয় থেকে এসবের উৎপত্তি। প্রাণীর লোম থেকে অ্যালার্জির সূত্রপাত হয়, অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা লোমশ প্রাণীর সংস্পর্শে এলেই তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, কুকুর পুষলে জলাতঙ্কের ঝুঁকি থাকে, পোষা প্রাণী থেকে করোনা সংক্রমণ হয় কিংবা গর্ভবতী নারীর কাছে বিড়াল থাকলে গর্ভের শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়—এগুলো ভ্রান্ত ধারণা।
প্রাণীর লোমে সবার অ্যালার্জি থাকে না। প্রত্যেক অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের রোগী লোমের কারণে শ্বাসকষ্টে ভোগে না। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা কিংবা অ্যাজমা থাকলে ঠিক কোন জিনিসের প্রভাবে আপনার সমস্যাটি হয়, তা জেনে নিতে পরীক্ষা করাতে পারেন। আপনার অ্যালার্জির কারণটি এড়িয়ে চলুন। অনেক বাড়িতেই অ্যাজমা রোগী ও লোমশ প্রাণী বছরের পর বছর সহাবস্থান করে কোনো সমস্যা ছাড়াই।
পোষা প্রাণীকে নিয়মমাফিক জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হলে সে ও আপনার পরিবার—সবাই থাকবে নিরাপদ।
প্রাণীর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে। বরং মানুষ থেকে মানুষেই ছড়ায় এই ভাইরাস।
গর্ভবতী নারী বিড়ালের মল পরিষ্কারের কাজে হাত না দেওয়াই ভালো। তবে তা করতে হলে হাত পরিষ্কার করে ফেললেই চলবে। এর বাইরে বিড়াল নিয়ে বাড়তি সতর্কতার বিষয় কিছুই নেই।
সচেতন জীবনযাপন
প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত যত্ন নিশ্চিত করুন। পরিবারের ছোট্ট শিশুর মতোই ওগুলোর টিকা, কৃমিনাশক প্রভৃতি প্রয়োজন হয় (প্রজাতিভেদে ভিন্নতা রয়েছে)। প্রাণীর মলমূত্র পরিষ্কার করুন নিয়মিত, কাজটি করার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন, সবশেষে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।