বই পড়ে আর ছবি দেখে অবসর কাটে ন্যান্সির

নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি
নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি

‘আমার কাছে সব দিনই ছুটির দিন। আবার সব দিনই আমি ব্যস্ততার মধ্যে থাকি। ছোটবেলা থেকে শুক্রবারই ছুটির দিন কাটিয়েছি। এখন তো মাঝেমধ্যে শুক্রবারের ব্যস্ততা অন্য দিনের চেয়েও বেশি থাকে।’ কথাগুলো সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সির। এই প্রজন্মের জনপ্রিয় শিল্পী ন্যান্সি গান গেয়ে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। মেরিল প্রথম আলো তারকা জরিপেও পাঁচবার সেরা সংগীতশিল্পী নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
বই পড়তে ভালোবাসেন ন্যান্সি। অবসর পেলেই বই নিয়ে বসেন। পছন্দের লেখক হুকমায়ূন আহমেদ। বললেন, ‘হুঁমায়ূন আহমেদের এমন কোনো বই নেই যা আমার সংগ্রহে নেই। হাতের কাছে তাঁর বই পেলেই পড়তে বসি, হোক না তা আগের পড়া। ইদানীং কাঠপেন্সিল বইটি আবারও পড়ছি। হুয়মায়ূন আহমেদ ছাড়া রবীন্দ্র রচনাবলি, নজরুল রচনাবলি, সমরেশ বসু, সমরেশ মজুমদারের গল্প ও শংকরের বই আমার সংগ্রহে আছে। আমার নেত্রকোনার বাড়িতে বইয়ের অনেক বড় সংগ্রহ আছে। ঢাকার বাসায়ও আছে প্রিয় বইগুলো।’ অনুবাদ পড়তেও তাঁর ভালো লাগে। ছোটবেলায় প্রিয় ছিল সেবা প্রকাশনীর গোয়েন্দা সিরিজের বইগুলো। মারিও পুজোর গডফাদার এবং হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের শি ও রিটার্ন অব শি সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
ছুটির দিন মেয়ে রোদেলা আর স্বামী জায়েদের সঙ্গে সময় কাটে। ‘সপ্তাহের সব দিনই কোনো না কোনো শিক্ষকের কাছে পড়া নিয়ে রোদেলা ব্যস্ত থাকে। শুক্রবার কোনো শিক্ষক আসেন না। এ দিন পুরোপুরি ছুটি। আমার স্বামী জায়েদেরও সে দিন ছুটি। স্বামী ও সন্তান মিলে ছবি দেখি কিংবা বই পড়ি। এই তো কদিন আগে বাংলা ছবির মধ্যে পিঁপড়াবিদ্যা দেখেছি।’ স্টেজ শো এবং কাজের অন্যান্য ব্যস্ততার ফাঁকে বাজারে নতুন কী ছবি এসেবে তা নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন ন্যান্সি। তারপর সেগুলোর ডিভিডি সংগ্রহ করেন। বললেন, ‘বাজার থেকে ডিভিডি সংগ্রহ করে বাসায় ছুটির দিনে সবাই মিলে ছবিগুলো দেখি।’
গানের মানুষ ন্যান্সি, কিন্তু গান শোনার অভ্যাসটা কেমন? বললেন, ‘আমি সবার গানই শুনি। আগে সিডি কিনতাম। এখন তো সিডি বের হয় না বললেই চলে। তাই টিভি চ্যানেলে ঘুরে গানের চ্যানেল দেখলেই থেমে যাই। দেশের চ্যানেলের মধ্যে গান বাংলায় দারুণ সব গান শোনা হয়। এখানে অনেক নতুন শিল্পীর সঙ্গে পরিচয় হয়।’
ছুটির দিনে সংসারের কাজেও অনেকটা সময় কাটে ন্যান্সির। সবার পছন্দের রান্না করেন। মায়ের কাছে শেখা রান্নার ক্ষেত্রে নিয়মটাই রয়ে গেছে। বললেন,‘শুক্রবারে সাধারণত আমাদের বাসায় পোলাও আর নানা পদের মাংস রান্না হতো। মাঝেমধ্যে অবশ্য খিচুড়িও ছিল। এটা এখনো চলছে।