বিশ্বাসে বাঁচুন

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

একখানি চিঠি লিখো বন্ধু

বন্ধু আমাদের জীবন যেন বর্ষায় ফুলেফেঁপে ওঠা নদীর মতো। সেই যে গতি বাড়ে আর কমতেই চায় না। বর্ষায় বৃদ্ধি পাওয়া নদীর গতির মতো ব্যস্ততা দিন দিন আমাদের জীবনকে ঘিরে ফেলছে। যেন পালানোর কোনো পথ নেই। ব্যস্ততার জাঁতাকলে পিষ্ট জীবন খোঁজে ক্ষণিকের প্রশান্তি। চায় এই ব্যস্ততম জীবন থেকে কিছুদিনের ছুটি। কিন্তু সে কি সম্ভব? কামরুল, একসময় আমাদের মধ্যে নিয়মিত পত্রালাপ হলেও ব্যস্ততার ভিড়ে এখন আর লেখা হয় না। পিয়ন কাকাও আর চিঠি নিয়ে আসে না। বন্ধু, কখনো ক্লান্ত বিকেলে একপশলা বৃষ্টির ফাঁকে সময় পেলে একখানি পত্র লিখো।

ইয়াছিন রিসাদ, ছাগলনাইয়া, ফেনী

আত্মার বন্ধু

বন্ধু, তোমার কথা মনে পড়ে খুব। আম্মা মারা যাওয়ার পর সবাই যখন নিজেকে গোছাতে ব্যস্ত, তখন তুমি পাশে দাঁড়িয়েছিলে। নিজেকে কোনোভাবেই যখন ম্যানেজ করতে পারছিলাম না, ঠিক তখন তুমি এলে। মা ছাড়া সন্তান যে কতটা অসহায়, তা কেবল মা-হারা সন্তানেরাই বোঝে। স্বজনদের প্রকৃত মূর্তিটা দৃশ্যমান হলো। মমতা, দয়া আর সহানুভূতি নিয়ে আমাকে গভীর ট্রমার কূপ থেকে তুলে এনেছে আমার আত্মার বন্ধু আলম হোসেন। আমাকে আপনজনের পরশ দিয়েছে কাপাসিয়ার এই মানুষ। সেই প্রিয় বন্ধু এখন সৌদি আরব থাকে। প্রতিদিন আমাকে ইমোতে ফোন দেয়, কথা বলি। আলম আমার জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

সালেহ্ বায়েজীদ, মনোহরদী, নরসিংদী

বিশ্বাসে বাঁচুন

জীবনে বেঁচে থাকার জন্য বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। প্রিয় মানুষটির দুটি বিশ্বস্ত হাত, আলতো ছোঁয়া ও উষ্ণ ভালোবাসা বেঁচে থাকার শক্তি জোগায়। আমি মনে করি, ভালোবেসে পাশে থাকলে পারস্পরিক বিশ্বাসবোধ জীবনে অনাবিল সুখশান্তি বয়ে আনে। স্বামী হিসেবে, জীবনসঙ্গী হিসেবে, পুরুষ হিসেবে সে-ই সার্থকতার দাবিদার, যে তার প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে।

শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সুজানগর, পাবনা

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’