মাছ-সবজিতে ২৫ বছর!
ভাবুন তো একই খাবার, দিনের পর দিন খেয়ে যাচ্ছেন, কোনো পরিবর্তন নেই। কী বিরক্তিকরই না লাগবে! সেই সঙ্গে পাশের মানুষটা যদি হয় ভোজনরসিক, তাহলে তো কথাই নেই। রেস্তোরাঁয় গেলে এক পাশে খাবারের অর্ডারের বন্যা, অন্যদিকে সামান্য এক বাটি খাবার দিয়ে বসে আছেন অন্যজন। শুনেই কেমন লাগছে না? অথচ ২৫ বছর ধরে এটাই করে আসছেন ভিক্টোরিয়া বেকহাম। আর অন্য পাশের মানুষটা ডেভিড বেকহাম।
২৩ বছরের সংসার বেকহাম আর ভিক্টোরিয়ার। ব্রিটিশ রাজপরিবারের বিয়ে বাদে সাম্প্রতিক ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ে ছিল ডেভিড বেকহাম আর ভিক্টোরিয়া অ্যাডামসের। ভিক্টোরিয়ার ‘স্পাইস গার্ল’ তখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে, অন্যদিকে ডেভিড বেকহাম ইংলিশ ফুটবলের হার্টথ্রব। দুজনের পরিচয় থেকে পরিণয় ছিল ইংলিশ মিডিয়ার অনেক দিনের আকর্ষণ। তাদের প্রেম থেকে বিয়ে—সবটাই মানুষের জানা। কিন্তু তাদের অন্দরমহলের খাবার নিয়ে এমন গল্প এত দিন ছিল সবারই অজানা।
রুথ রজার্সের ‘টেবিল ফোর’ পডকাস্টে ডেভিড বেকহামের মুখ থেকেই জানা গেল, খাওয়াদাওয়া নিয়ে সব সময়ই একটু খুঁতখুঁতে ভিক্টোরিয়া। ‘২৫ বছর ধরে আমি ভিক্টোরিয়াকে চিনি। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত যতবার ডেটে গিয়েছি, সে শুধু গ্রিলড ফিশ আর সেদ্ধ সবজিই অর্ডার দিয়েছে। কালেভদ্রেও এই রুটিন থেকে সরে আসে না ও (ভিক্টোরিয়া)।’
অন্যদিকে নিজের খাবারের ব্যাপারে এখন বেশ উদার ডেভিড বেকহাম। ‘খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে খাবার আর ওয়াইনের প্রতি ভালোবাসাটা বেড়ে গেছে। কিন্তু ভিক্টোরিয়া আগের মতোই আছে।’
এই মিতব্যয়ী খাদ্যাভ্যাসের কথা নিজেও স্বীকার করেছেন ভিক্টোরিয়া। ছয় মাস আগে একই অনুষ্ঠানে নিজের পছন্দের খাবারের কথা বলতে গিয়ে ৪৭ বছর বয়সী এই গায়িকা বলেন, ‘খাবারদাবারের ব্যাপারে আমার জীবনটা বেশ একঘেয়ে। আমার পছন্দ? লবণ দেওয়া টোস্ট বিস্কুট।’ শর্করা, তেল-চর্বিযুক্ত খাবারের তো প্রশ্নই আসে না। ‘রেস্তোরাঁয় লোকজনের কাছে আমি একটা দুঃস্বপ্নের মতো। আমার পছন্দমতো খাবার আনতে তাদের বেশ বেগই পোহাতে হয়।’
তবে ২৫ বছরে মাত্র একবার নিয়মিত খাবারের রুটিন থেকে সরে অন্য খাবার খেয়েছেন ভিক্টোরিয়া। সে গল্পও পডকাস্টে বলেছেন স্বামী ডেভিড বেকহাম। ‘ভিক্টোরিয়া আমার প্লেট থেকে শেষ খাবার নিয়ে খেয়েছিল, তার পেটে যখন হার্পার (দম্পতির চতুর্থ সন্তান)। সেটা ছিল আমার জীবনের অন্যতম সুন্দর এক মুহূর্ত।’