মিরসরাইয়ে চারু ও কারুকলার শিক্ষক নেই

ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত চারু ও কারুকলা আবশ্যিক বিষয়। কিন্তু মিরসরাইয়ের ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই বিষয়ের শিক্ষক নেই। অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে জোড়াতালির পাঠদান।
মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে চারু ও কারুকলা বিষয় ঐচ্ছিক ছিল। কিন্তু গত ২২ আগস্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষাক্রমে ‘শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য’ ও ‘চারু ও কারুকলা’ আবশ্যিক করা হয়েছে। এর আগে ‘কৃষি ও গাহর্স্থ্য অর্থনীতি’ বাধ্যতামূলক ছিল। এখন বিষয়টিকে ঐচ্ছিক করা হয়েছে। কিন্তু চারু ও কারুকলা বিষয়ে শিক্ষকের পদও সৃষ্টি করা হয়নি। তা ছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান জনবল কাঠামোয় এই বিষয় অন্তর্ভুক্ত না থাকায় শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিও পাওয়া নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্বিধায় রয়েছে।
মিরসরাই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দীন বলেন, চলতি বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থীদের আশঙ্কা, ওই বিষয়ে তাদের ফল শহরের থেকে খারাপ হতে পারে। আগামী বছরের শুরুতে যাতে শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে শিক্ষক পেতে পারে, এ ব্যাপারে সরকারকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
মিরসরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হুমায়ূন কবির খান বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষক না থাকায় গরিব শিক্ষার্থীরা বেকায়দায় পড়েছে বেশি। কারণ, সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে বাইরে প্রশিক্ষণ নিতে পারলেও গরিব শিক্ষার্থীরা পারছে না। এ বিষয়ে আগামী জানুয়ারির আগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সরকারি উদ্যোগ অবশ্যই প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।