সবচেয়ে পুরোনো আয়োজন
কোপা আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা, যা এখনো টিকে আছে। প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপের ১৪ বছর আগে শুরু হয় কোপা আমেরিকার যাত্রা। ইউরো শুরু হয় তারও প্রায় ৩০ বছর পর। কোপা আমেরিকার আয়োজক সংস্থা দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন হচ্ছে ফিফার তালিকাভুক্ত সবচেয়ে পুরোনো মহাদেশীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আর্জেন্টিনার স্বাধীনতা দিবস থেকে কোপা আমেরিকা
১৮১৬ সালে আর্জেন্টিনা স্বাধীনতা ঘোষণা করে। স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ১৯১৬ সালে আর্জেন্টিনা আয়োজন করে কোপা আমেরিকার প্রথম আসর, দক্ষিণ আমেরিকা চ্যাম্পিয়নশিপ ১৯১৬। এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়েই শুরু হয় আজকের কোপা আমেরিকার যাত্রা। ফুটবল বিশ্বকাপের মতো কোপা আমেরিকার প্রথম আসরও জিতে নেয় উরুগুয়ে।
ভাগ্যের জোরে ফাইনালে
কোপা আমেরিকার ২০১১ সালের আসরের ফাইনালে উরুগুয়ের কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে আসরের একটি খেলায়ও নব্বই মিনিটে জিততে পারেনি প্যারাগুয়ে। গ্রুপ পর্বে তিন খেলায়ই ড্র করলেও পয়েন্টের হিসাব-নিকাশে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যায় প্যারাগুয়ে। এরপর পার হয় সেমিফাইনাল পর্বও। দুই খেলায়ই তাঁদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল টাইব্রেকারে।
কোপা আমেরিকা যখন উত্তর আমেরিকায়
দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল প্রতিযোগিতা কোপা আমেরিকার একটি আসর হয়েছিল দক্ষিণ আমেরিকার বাইরে, উত্তর আমেরিকার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার শতবর্ষ পূর্তিতে এই আসরের মূল পর্বের খেলাগুলো আয়োজনের দায়িত্ব পায় দেশটি। সেই আসরের আয়োজক হিসেবে মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়ে সেমিফাইনালেও পৌঁছে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
এক খেলায় তিনবার পেনাল্টি মিস
আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার মার্টিন পালের্মো ১৯৯৯ সালের কোপা আমেরিকার আসরে একটি বিব্রতকর রেকর্ডের মালিক হন। গ্রুপ পর্বের খেলায় কলম্বিয়ার কাছে ৩-০ গোলে পরাজিত হয় আর্জেন্টিনা। সেই খেলায় তিনবার ফিরে আসার নিশ্চিত সুযোগ হিসেবে পেনাল্টি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি দলটির স্ট্রাইকার মার্টিন পালের্মো। তিনবারই তিনি পেনাল্টি মিস করেন সেদিন।
সতীর্থরাই যখন কোচ
এবারের আসরে আর্জেন্টিনা দলের কোচিং স্টাফদের প্রায় সবাই ছিলেন লিওনেল মেসির সতীর্থ। প্রধান কোচ লিওনেল স্কালোনি, সহকারী কোচ পাবলো আইমার ও রবার্তো আয়ালা ২০০৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের হয়ে মেসির সঙ্গী হয়েছিলেন জার্মানিতে। অপর সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল ইনজুরির জন্য বিশ্বকাপ দলে জায়গা না পেলেও ডিফেন্ডার হিসেবে ২০০৬ সালে বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে ছিলেন তিনি।
সূত্র: ব্লিচার রিপোর্ট, ব্রিটানিকা এবং বিইনস্পোর্টস