দেশীয় ঐতিহ্যের আবহে ঝলমলে এক রাত নেমে এল রাজধানীর উত্তরার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে। প্রাকৃতিক রং ব্যবহার ও হাতে তৈরি পোশাক নিয়ে প্রথমবার ফ্যাশন শোর আয়োজন করে ফ্রেন্ডশিপ কালার অব দ্য চার্স। ‘আ নাইট অব ট্র্যাডিশন’ শিরোনামের এই ফ্যাশন শো আয়োজিত হয়েছিল হোটেল লা মেরিডিয়ানে। গত শুক্রবার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও ছিল দেশীয় কাপড়ের প্রদর্শনী। ছিল শাড়ি, স্কার্ফ, তৈরি পোশাক, গয়নাসহ ফ্রেন্ডশিপ কালার অব দ্য চার্সের আরও বেশ কিছু পণ্য।
ছয়টি কিউতে দেখানো হয় ফ্যাশন শোটি। প্রতিটি কিউতে তুলে ধরা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন সব দেশীয় পোশাকের সমারোহ। প্রতিটি শোর আগে প্রদর্শন করা হয় বিশেষ একটি এভি (অডিও ভিজ্যুয়াল)। যেখানে বুননের কৌশল, পোশাকটির ইতিহাস ও তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
ছয়টি কিউয়ের প্রতিটিতে ভিন্ন ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে হাতে বোনা বা হ্যান্ডলুম পোশাক, জামদানি, তৈরি পোশাক, বাঙালি সিল্ক, ইন্ডিগো রঙের পোশাক ও রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য পোশাক। বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউরোপেও রপ্তানি করা হয় পুনর্ব্যবহারযোগ্য এসব পোশাক। এই শোতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে টেকসই ফ্যাশনকে। কেননা, মহামারিকাল পেরিয়ে নতুন করে চলতে শুরু করা ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি আগামী দিনে চোখ রাখছে টেকসই পরিবেশবান্ধব পোশাকের ওপর। বারবার পরা যায়, এমন পোশাক তাই আলাদা দাবি রাখছে ফ্যাশন শোগুলোতে।
শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবির পাশাপাশি ভিন্নধর্মী কাটিংয়ের ফতুয়া, শার্ট, ধুপি কাটিং প্যান্ট, স্কার্ট, ফ্রক ও হাল ফ্যাশনের লম্বা জামা, লম্বা কোর্ট, জ্যাকেট পড়ে র্যাম্পে হাঁটেন মডেলরা। এই ক্যাটওয়াকের সঙ্গী হয়েছিল বাউল, সংগীত সাধক শাহ আবদুল করিমের গানের ফিউশন। এটি এই শোকে দিয়েছে এক ভিন্ন আঙ্গিক।
দেশি উপকরণে দেশি ডিজাইনারদের হাতে বানানো পোশাকের সঙ্গে বেজেছে দেশি সংগীত। আলাদা করে নজর কেড়েছে সংগীতশিল্পী মেহরিনের পারফরম্যান্স। তিনি গেয়েছেন, আর ফ্যাশন শোতে গাইতে এলে ক্যাটওয়াক তো করতেই হয়, সেটিও করেছেন। আর উপস্থিত দর্শকদের রায়ে, ‘শো স্টাপার’ হিসেবে নাকি তিনিই সেরা!
ফ্যাশন শোতে মডেলদের অঙ্গে শোভা পেয়েছে ফ্রেন্ডশিপ কালার অব দ্য চার্সের দেশি গয়না। তাঁদের সাজিয়েছে পারসোনা।