দেশি রেশমে ভিনদেশি ফিউশন

ফ্যাশন মানুষের জীবনেরই অংশ। পোশাককে বলা হয় ব্যক্তির রুচি, ব্যক্তিত্ব ও সংস্কৃতির ধারক। শহরে চলছে সিল্ক কাপড়কে ঘিরে সেরকমই এক ফ্যাশন শো। শুক্রবার ছিল এর দ্বিতীয় দিন।

ডিজাইনার শৈবাল সাহার তৈরি পোশাকে মডেল তাবিন্দা
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

ফ্যাশন ডিজাইনারদের সংগঠন ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (এফডিসিবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কুটর উইক ২০২১’–এর দ্বিতীয় দিনের (৩ ডিসেম্বর) আয়োজন ছিল দুই ভাগে। রাজধানীর গুলশানের নর্থ অ্যাভিনিউয়ের ওয়াটারএজ গ্যালারিতে রেশম বা সিল্ক পোশাকের প্রদর্শনীই ছিল মূল আয়োজন।

এদেশীয় লাল শাড়ির সঙ্গে পশ্চিমা জ্যাকেটের মিশেলে তৈরি পোশাকে
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

প্রথম ভাগে বাংলাদেশের ফ্যাশন–শিল্প নিয়ে ছিল আলোচনা। তবে এটিকে আলোচনা না বলে গল্পও বলা চলে। আর ওই গল্পে বারবারই উঠে আসছিল পুনর্ব্যবহারযোগ্য ফ্যাশনের সক্রিয়তা ধরে রাখা ও তার গুরুত্ব। আর দেশীয় ফ্যাশনে বৈশ্বিক রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্থানীয় ফ্যাশন জগতে তুলে ধরার বিষয়টি।

প্রদর্শনীর পোশাক নেড়েচেড়ে দেখছেন এক দর্শনার্থী
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

দ্বিতীয় ভাগের উপস্থাপনায় ছিল ফ্ল্যাশ ফ্যাশন শো। ১৭ জন দেশি ডিজাইনারের তৈরি পোশাক ছিল আগ্রহের কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দিনে উপস্থাপন করা পোশাকেও ছিল চিরায়ত সিল্কের চমক। আর শীতের সংগ্রহ বলেই জ্যাকেট, লম্বা কোট বা কটির ব্যবহার দেখা গেছে বেশি। শাড়ি, কামিজ, লম্বা জামা আর স্কার্টেও ছিল ফিউশন। আবার পাশ্চাত্যের ফ্যাশনে ভাগ না বসিয়ে একেবারে দেশীয় ঢং ও সাজে পোশাক উপস্থাপন করেছেন ডিজাইনার এমদাদ হক।

নিজের নকশা করা পোশাক পরা মডেলদের সঙ্গে ডিজাইনার মাহিন খান
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে সিল্কের পোশাকে হাতে সেলাই নকশিকাঁথা ও প্যাঁচওয়ার্কের ব্যবহার ছিল বেশি। ছিল দেশীয় উৎসবের রঙের আধিপত্য। এছাড়া শাড়ি ও কামিজের পাশাপাশি ছিল জাম্পস্যুট কাটিংয়ের পোশাক, প্লাজো ও কাফতান। ছিল কালো, মেরুন, লাল, কমলা, হালকা সবুজ, হালকা গোলাপি, নীল ও বাদামি রঙের সিল্ক পোশাকের ঝলক।

ফ্ল্যাশ শো শেষে মডেলদের একাংশ
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

প্রথম দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।