সৌন্দর্যসেবা খাতে কর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানালেন সৌন্দর্যসেবা সংগঠন ‘বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর (বিএসওএবি) সভাপতি কানিজ আলমাস খান। আজ রাজধানীর গুলশান ক্লাবে সংগঠনের নতুন কমিটি পরিচিতি ও ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এই দাবি জানান তিনি।

কথা বলছেন ‘বিউটি সার্ভিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর (বিএসওএবি) সভাপতি কানিজ আলমাস খান
ছবি: বিএসওএবির সৌজন্যে

সকাল ১১টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। শুরুতেই বিএসওএবির নতুন নির্বাচিত প্যানেলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর ছিল সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচিতি ও বক্তব্য পর্ব। মূল বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি কানিজ আলমাস খান। শিল্প খাত হিসেবে সৌন্দর্যসেবা খাতে ভ্যাট সহনশীল করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কানিজ আলমাস খান আরও জানান, দেশে নিবন্ধিত পার্লারের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ। অন্তত ১০ লাখ নারী এই কাজের সঙ্গে জড়িত। সৌন্দর্যসেবা খাত বিলাসিতার খাত নয় দাবি করে তিনি বলেন, এই খাতে ব্যবহৃত পণ্য আর প্রসাধনীর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ আমদানি কর, সরবরাহ ও অন্যান্য কর—সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশ পড়ে যায়। এখান থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে আনার দাবি জানান তিনি।

কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘সৌন্দর্যসেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ৯৯ শতাংশ নারী। তাঁদের একটা বড় অংশ আদিবাসী। সৌন্দর্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফ্লোর ভাড়া করে। এ জন্য বিপুল ভাড়া দিতে হয়। এ ছাড়া রয়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও ইন্টারনেট বিল। ব্যবহৃত পণ্য ও সৌন্দর্যসেবার প্রসাধনীগুলো আমদানির পরও সরবরাহ ভ্যাট দিতে হয়। ফলে ভ্যাটের ওপর ভ্যাট দিতে হয়। ফলে সৌন্দর্যসেবায় শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ কর দিতে হয়, যা ভ্যাটের মৌলিক নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই কর কমিয়ে ৫ শতাংশে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করছি।’

বিএসওএবির নবনির্বাচিত ১৬ সদস্যের প্যানেলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়
ছবি: বিএসওএবির সৌজন্যে

কানিজ আলমাস খান পরে বিএসওএবির ২০২১-২৩ মেয়াদের নবনির্বাচিত ১৬ সদস্যের কার্যনির্বাহী প্যানেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁরা হলেন সভাপতি কানিজ আলমাস খান, সিনিয়র সহসভাপতি নিলুফার খন্দকার, সহসভাপতি গীতি বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক সুমনা হাসান, সহসাধারণ সম্পাদক আলেয়া শারমিন, উপসাধারণ সম্পাদক আরিফা হোসেন।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিএসওএবির সাধারণ সম্পাদক সুমনা হাসান
ছবি: বিএসওএবির সৌজন্যে

এ ছাড়া রয়েছেন কোষাধ্যক্ষ সায়রা মঈন, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ রাজিয়া সুলতানা। জনসংযোগ, যোগাযোগ ও ইভেন্ট সম্পাদক কাজী কামরুল ইসলাম; জনসংযোগ, যোগাযোগ ও ইভেন্টের যুগ্ম সম্পাদক রহিমা সুলতানা রীতা ও ফারখুন্দা জাবীন খান; দপ্তর সম্পাদক ফারহানা ইয়াসমিন; সাংস্কৃতিক সম্পাদক রোজা হোসেন; যুগ্ম সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইসরাত জাহান ও সদস্য সায়লা ইসলাম ফ্লোরা ও কানিজ সুলতানা।


সমাপনী বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক সুমনা হাসান।