আজ যত্ন নেওয়ার, খেয়াল করার দিন

প্রতীকী ছবি

আজ ৭ জুন বিশ্ব কেয়ারিং দিবস। কেয়ারিং শব্দ বেশি চালু, তাই একে এভাবেই রাখলাম। খেয়াল করা। যত্ন নেওয়া। অনেকে বলেন, আমার স্বামী বেশ কেয়ারিং, মানে আমার বেশ খেয়াল নেন। যত্ন নেন। নানাভাবে এর মানে করা হয়েছে। দয়ালুভাব, সমমর্মী বিবেচক, সহানুভূতিশীল।

কেয়ারিং মানে ভালোবাসা, সহজ কথা। অন্যের জন্য, অপরের জন্য উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। কোনো পক্ষপাত ছাড়াই অন্য মানুষের বিপদে হাত বাড়িয়ে দেওয়া। আজ এই পৃথিবীতে মানুষ বড় নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, তাঁর তাঁর আমার আমার। এমন পরিস্থিতিতে অন্যের খেয়াল নেওয়ার মানসিকতার চর্চা দরকার।

‘কেয়ারিং ব্রিজ’ নামে একটি অলাভজনক সংস্থা এই দিন পালনের উদ্যোগ নিল। যাঁরা কেয়ারিং, তাঁদের প্রশংসা করা আর অন্য লোকের খেয়াল নেওয়া চর্চা করা।

একটি ঘটনা ঘটার পর এই দিবস পালনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১৯৯৭ সালে ব্রিঘিদ নামে এক শিশুর ৯ দিনের জীবনে একটা ঘটনা ঘটে। অপরিণত শিশুর জন্মের পর তৈরি হলো কেয়ারিং ব্রিজ ওয়েবসাইট। সফটওয়্যার প্রকৌশলী সনা মেরিং বুঝলেন শিশুর স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্বজনদের হালনাগাদ তথ্য অবহিত করার আরও ভালো উপায় দরকার। অনলাইনে সবকিছু সমন্বয় করতে পারায় পরিবার আর বন্ধুরা দরকারি জিনিসের জোগান দিতে পারতেন। আর সান্ত্বনা জানাতে পারতেন ব্রিঘিদ ও তাঁর পরিবারকে। বেশ বৈপ্লবিক ছিল বিষয়টি। কারণ, সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল না।

‘আপনার দিন কেমন কাটল’—এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে একজনের মন খুশি হয়।
আজকের এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে কেউ আন্তরিকভাবে খেয়াল নিলে এ তো আশীর্বাদ। কেয়ারিং বড় হোক, ছোট হোক—গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্য জীবনের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ সময়ে কেয়ারিং খুব প্রয়োজন।

কেউ কোনো বড় স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লে তখন সাপোর্ট আর কেয়ার খুব দরকার হয়। আপনার প্রিয়জন জানবেন তিনি একা নন। আমার জীবনে কঠিন অসুখের সময় স্বজন, সহকর্মী, ছাত্রছাত্রী, ডাক্তারদের কেয়ারিং আমার আর আমার স্ত্রীর মনোবল দারুণ বাড়িয়েছে।

আজ প্রিয়জনের কুশল জানুন। বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। তাঁদের কথা শুনুন, যত্ন নিন তাঁদের প্রয়োজন হলে। অর্থপূর্ণ হৃদয়ে–হৃদয়ে আলাপন দারুণ কাজের হতে পারে। এ যেন হয় সব সময়ের মনস্থিতি।