অনেকেই দ্রুত ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। না খেয়ে বা খুব কম খেয়ে ওজন কমাতে চান। এ জন্য অনেকে পাত থেকে শর্করা ও চর্বি বাদ দেন। এসব প্রক্রিয়ায় ওজন কমাতে গিয়ে অনেকে শারীরিক নানা সমস্যায় ভোগেন। একসময় বাধ্য হয়ে এসব প্রক্রিয়া বাদ দিতে হয়। এতে ওজন আগের মতোই বেড়ে যায়। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়া করা যাবে না। ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সঠিক ও কার্যকর প্রক্রিয়া জানতে হবে। কমিয়ে আনা ওজন কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায়, সেই বিষয়ে নজর দিতে হবে।
যা জানা জরুরি
দ্রুত ওজন কমানোর সময় শরীরের লিন মাসল খুব দ্রুত ক্ষয় হয়। এ মাংসপেশি শক্তি ক্ষয়ে ও জমে থাকা চর্বি কমাতে সহায়ক।
দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে মাংসপেশির টিস্যু ক্ষয়ে যেতে পারে। এতে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে ব্যথা হতে পারে।
দ্রুত ওজন কমানোর ফলে চুল পড়া, অনিয়মিত মাসিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া, স্নায়ুর ক্ষতি, অতিরিক্ত ক্লান্তি, অপুষ্টিসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যা মেনে চলতে হবে
তিন বেলার খাবারে রুটি ও ভাতের পরিমাণ ঠিক করে নিতে হবে। সকালে ১টি রুটি, দুপুরে ২ কাপ ভাত এবং রাতে শুধু সবজি ও সালাদের সঙ্গে মাছ অথবা মাংস, সঙ্গে ১ থেকে ২ কাপ টক দই খাওয়া যেতে পারে। লাল চাল ও আটা ব্যবহার করতে হবে।
খাবারে প্রাণিজ ও উদ্ভিজ আমিষের অনুপাত হবে ৪০:৬০। ডাল, বাদাম, সয়াবিন বেশি খেতে হবে। তেলেভাজা খাবার বাদ দিতে হবে। কাঠবাদাম, সূর্যমুখী ও মিষ্টিকুমড়ার বীজ, সামুদ্রিক মাছ চর্বির ভালো উৎস।
রঙিন শাকসবজি ও ফল খেতে হবে। রান্নার পাশাপাশি কাঁচা সবজি যেমন কাঁচা পেঁপে, গাজর খেতে হবে। নাশতায় ফল, বাদাম, খেজুর, কিশমিশ, গুড় রাখা যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। ইসবগুল, তোকমা, গ্রিন টি দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় থাকতে পারে।
কোমল পানীয়, চিনিসহ চা পান বাদ দিতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়া যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।
প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটা ও পর্যাপ্ত ঘুম কমিয়ে আনা ওজন দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে সহায়ক।