ভালো থাকুন
ঘুমের ব্যায়াম
ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়ামের সঙ্গে সঙ্গে চাপমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। নিয়মিত ইয়োগা বা দ্রুত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করে তোলা জরুরি। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করতে হবে।
অনিদ্রা দূর করতে ব্যায়াম কি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে? এ নিয়ে আছে বেশ কিছু গবেষণা। বলা হয়ে থাকে, সহনীয় মাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম গভীর নিদ্রায় সাহায্য করে।
অ্যারোবিক ব্যায়াম হলো সেই ধরনের কার্যক্রম, যার ফলে হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয় ও শরীর ঘামতে শুরু করে। যেমন জোরে হাঁটা, সাইক্লিং, জগিং, দড়িলাফ, দৌড়ানো, অ্যারোবিক নৃত্য, সাঁতার কাটা ইত্যাদি শারীরিক পরিশ্রমকে অ্যারোবিক ব্যায়াম বলা হয়।
একজন সুস্থ–সবল মানুষের জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম করা জরুরি। কিন্তু কেউ চাইলে এর বেশিও করতে পারেন, তবে তা নির্ভর করবে তাঁর শারীরিক সুস্থতা ও ক্ষমতার ওপর। একজন সুস্থ ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম যথেষ্ট। এ ধরনের ব্যায়ামে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামের রাসায়নিক নিঃসৃত হয়, যা সুখানুভূতির সৃষ্টি করে, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমায়, ফলে ভালো ঘুম হয়।
যেকোনো অ্যারোবিক ব্যায়াম শুরু করার আগে ওয়ার্মআপ করা প্রয়োজন। ঢিলেঢালা পোশাক ও আরামদায়ক জুতা পরা জরুরি।
বাসায় যা করতে পারেন
জগিং জাম্প: দুই পা ফাঁকা করে দাঁড়ান। এবার দুই হাত ওপরে তুলে লাফ দিন। জগিং জাম্প ১০ মিনিটে ১০০ ক্যালরি বার্ন করে। প্রতিটি লাফ ৩০ থেকে ৬০ সেকেন্ড করে ১০ থেকে ৩০ মিনিট করতে পারেন।
দড়িলাফ: মাত্র ২০ মিনিট দড়িলাফে প্রায় ২২০ ক্যালরি বার্ন হয়। যদিও দেখতে খুব সোজা, কিন্তু এটি উচ্চমাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম। ১০ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত করতে পারেন।
চাইলে যেকোনো ব্যায়াম ৩০ মিনিট করতে পারেন, আবার যেকোনো তিনটি অ্যারোবিক ব্যায়াম ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট করতে পারেন। যেমন জগিং, জগিং জাম্প ও দড়িলাফ।
ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত অ্যারোবিক ব্যায়ামের সঙ্গে সঙ্গে চাপমুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। নিয়মিত ইয়োগা বা দ্রুত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করে তোলা জরুরি। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ব্যায়াম শেষ করতে হবে। যাঁরা নতুন বা প্রথমবার ব্যায়াম শুরু করবেন, তাঁরা অবশ্যই স্বল্পমাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম করবেন। ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়াতে হবে।
আগামীকাল পড়ুন: শীতের শুরুতে সতর্কতা