করোনাকালে অন্দরসজ্জা যতটা বদলে গেল

করোনার সময় বাড়ির ভেতরে করা হয়েছে নানা পরিবর্তন। অনেক জিনিস যেমন যোগ করা হয়েছে। তেমনি দরকার নেই এমন অনেক আসবাবও বাদ দেওয়া হয়েছে...

বাড়ির ভেতরে বেশি সময় থাকার কারণে অন্দরসজ্জায় দেখা গেছে নানা পরিবর্তনছবি: নকশা

অন্দরে সুরক্ষা

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় যেন হাতের কাছেই থাকে মাস্ক। একইভাবে আবার বাড়িতে ঢোকার মুখেই স্যানিটাইজার থাকুক হাতের নাগালে। এ কারণে জীবাণুনাশক জিনিসগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখেছেন সবাই। নির্দিষ্ট এই জায়গার নাম মাডরুম। যেখানে জুতা খুলে, হাত থেকে ব্যাগ, স্যানিটাইজার ব্যবহারের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করে বাড়ি ঢোকা হয়েছে। করোনার নতুন ধাঁচ চলে এসেছে। সুতরাং বাড়ি ঢোকার মুখে করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে—এমন জিনিসগুলো এক জায়গায় সাজানো থাকুক ২০২২ সালেও।

মাড রুম দেখা গেছে প্রায় সব বাড়িতেই
ছবি: নকশা

ক্রোকারিতে আগ্রহ

খাবার পরিবেশনের জন্য নানা নকশার ক্রোকারি কেনার প্রতি বেড়েছে আগ্রহ
ছবি: নকশা

ঘরের ভেতর বেশির ভাগ সময় কাটানো হয়েছে। পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে খাওয়া হয়েছে বেশি। এ কারণে অনেকেই খাবার টেবিল সাজিয়েছেন পরিপাটি করে। পরিবেশনের বাসন থেকে শুরু করে রান্নার পাতিল কিনেছেন অনেকেই। অনলাইনে কিছু কিছু সাইটে নতুন একটি পণ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হয়ে গেছে।

করোনায় অন্দর

অনেকেই ঘরের দেয়ালে রঙিন চিত্র এঁকেছেন
ছবি: নকশা

সবুজের সংস্পর্শে থাকতে ঘরে রাখা হয়েছে বেশি গাছ। এ ছাড়া ঘরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। ঘর পরিষ্কার রাখতে অন্দরে ছিমছাম ভাব আনা হয়েছিল। আবার দেয়ালে টেরাকোটা বা রং করার প্রবণতা দেখা গেছে। অনেকেই আবার ঘর গুছিয়ে রাখতে দেশীয় উপকরণের তৈরি ঝুড়ি ব্যবহার করেছেন।

বাড়ির ভেতরেই তৈরি করা হয়েছিল অফিসের জন্য আলাদা জায়গা
ছবি: নকশা

পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের জন্য ঘরের জানালা ও বারান্দার দরজা খোলা রাখার প্রবণতা ছিল বেশি। অন্দরসাজে অফিস করার জায়গাটিও যুক্ত করা হয়েছিল। কাজের ফাঁকে বিশ্রামের জন্য বারান্দায় দোল খাওয়া ছোট চেয়ার বা মেঝেতে বসার ব্যবস্থা রেখেছেন অনেকেই।