ইফতারে
• সেদ্ধ মাছ ও সবজি দিয়ে কাটলেট করতে পারেন।
• ডিম বা মুরগিসেদ্ধ, ক্যাপসিকাম, টমেটো, শসা আর সামান্য গোলমরিচগুঁড়া দিয়ে স্যান্ডউইচ বানাতে পারেন।
• চিড়া ভেজানোর পর ফুলে উঠলে তাতে দই আর কলা দিয়ে খেতে পারেন।
রাতে ও সাহ্রিতে
রাত ১০টার মধ্যে খেয়ে নিন। মেনুতে রাখুন কম মসলায় রান্না সবজি, কাটলেট, ডাল, মাছ বা মাংসের সঙ্গে অল্প ভাত কিংবা কয়েকটা রুটি। আলুর পরিমাণ কমিয়ে খেতে পারেন লাউ-বরবটি।
সাহ্রিতেও প্রায় এ রকমই। সরষের তেল আর কাঁচা মরিচ দিয়ে ভর্তা করতে পারেন। শুকনা মরিচ এড়িয়ে চলুন। তরকারি খেতে না পারলে দুধ-ভাত-কলা খাওয়া যায়। দুধ-কলা কিংবা কেক-কলা হতে পারে উঠতি বয়সীদের সাহ্রির খাবার।
জানা থাকুক
• খাবার খেতে হবে পরিমিত, কয়েক দফায়। পানীয়ও খেতে হবে আধঘণ্টা পরপর, অল্প করে।
• রান্নায় গুঁড়া মসলার চেয়ে বাটা (বা ব্লেন্ড করা) মসলা ব্যবহার করাই ভালো।
• ২-১ দিন ভাজাপোড়া খেলেও ব্যবহৃত তেল পরদিন পর্যন্ত রাখবেন না। ননস্টিক পাত্রে কম তেলে ভেজে সেটাতেই রাতের রান্না করে ফেলুন।
কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে
• রাতে শাক খেলে হজম হবে না—এমন ধারণা ভুল। রাতেও শাক খেতে পারেন।
• ঘন লাউ-ডাল বা লাউ-চিংড়ি খেতে পারেন।
• ইফতারে খান দই-ওটস।
• ইফতারের মিনিট দশেক আগে পানীয়তে দিন ইসবগুলের ভুসি কিংবা তোকমাদানা। তোকমাদানা, সামান্য চিনি আর গোলাপজলে পানীয়তে আনে ভিন্নরূপ।
• আনারস, বাঙ্গি, নাশপাতি, আঙুর, পেয়ারা ও কিশমিশের মতো আঁশসমৃদ্ধ খাবার খান।
অন্যান্য
• ৫-৬ রকম ফল, ধনেপাতা বা পুদিনাপাতা, সামান্য সরষের তেল, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, লেবুর রস, আদাকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন কাঁচা ছোলা।
• সারা রাত ভিজিয়ে রাখা রাজমা সেদ্ধ করে পানি ছেঁকে নেওয়া টক দইয়ের সঙ্গে সামান্য মধু বা চিনি, সাদা গোলমরিচগুঁড়া, পুদিনাপাতা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচকুচি ও ক্যাপসিকামকুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।
• মুরগি, সবজি (চাইলে বল আকারে, ওভেনে) দিয়ে শাশলিক করুন। ফলও দিতে পারেন। রঙিন সবজিতে (ক্যাপসিকাম, গাজর, বিট) শাশলিকও রঙিন হবে।
• দই-বুন্দিয়া (দই একটু ছেঁকে), দই-বড়া বা চিড়া-আইসক্রিম (পরিমিত) খেতে পারেন।
ফল, পানীয় ও দই
• ভিন্ন ভিন্ন ফলের রস তৈরি করুন। শসা, বেল, বাঙ্গি, তরমুজ এবং অন্যান্য মৌসুমি ফল দিয়ে মিল্কশেক বা স্মুদিও করতে পারেন। মিল্কশেকে ব্লেন্ড করে দিন বাদাম বা কিশমিশ। লাচ্ছি বা জিরাপানিও খেতে পারেন।
• খাবার শেষে খানিকটা সোডাপানিতে পুদিনাপাতা-লেবুর রস মিশিয়ে পরিবেশন করা যায়।
• শিশুদের জন্য সালাদে অল্প পরিমাণে বিভিন্ন রকম পনির বা ফ্রেশ ক্রিম দিতে পারেন।
• দই ছেঁকে মধু বা চিনি দিয়ে তাতে যোগ করুন খেজুর, পেঁপে প্রভৃতি কম পানি ছাড়া ফল। পরিবেশনের আগে অল্প পরিমাণ তরমুজ যোগ করুন।
• কাঠিতে গেঁথে ফলের টুকরা পরিবেশন করুন।
• সাগু বা ফালুদাতে খেজুরকুচি যোগ করতে পারেন।
• কেক, মাফিন, কুকিজ, মিল্কশেকেও খেজুর দিতে পারেন। অন্য ফলের সঙ্গে ফ্রুট-পাইতেও দেওয়া যায়।
• বীজ ফেলে খেজুরে পছন্দমতো কোনো বাদাম (আস্ত বা কুচি) ঢুকিয়ে দিন।