ঐশী অভিনয় জানেন, ঐশী রাঁধতেও জানেন
নিজে শাকসবজি ভালোবাসলেও অন্যদের জন্য যে কোনো পদই রাঁধতে পারেন এই প্রজন্মের অভিনেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। তাঁর কথা লিখেছেন বিপাশা রায়
খুব যে নিয়ম মেনে রান্নাঘরে ঢোকা হয় তা কিন্তু নয়, তবে হুটহাট রান্না করে তাক লাগিয়ে দেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। ‘বিশেষ কোনো রান্না নয়; বরং সাধারণ কিছু খাবারই কেন জানি আমার হাতের রান্নায় অন্যরা বৈচিত্র্য খুঁজে পায়,’ বলছিলেন ঢাকাই ছবির এই উঠতি অভিনেত্রী।
বর্ণিল খাবারদাবার ২০২২–এর প্রচ্ছদের জন্য এবার রাঁধলেন ঐশী। রেসিপির মধ্যে ছিল শর্ষের বিফ তেহারি, বিফ স্টেক, পাটিসাপটা, মুগের ডালের বরফি আর সুদিং পুডিং। এই পুডিংয়ের সুদিং নামটা কিন্তু শুট করতে গিয়েই পাওয়া গেল। প্রচ্ছদের শুটের দিন ছিল বেশ গরম। শুট শেষে সবাই যখন গরমে ক্লান্তশ্রান্ত, সবাইকে তখন তাঁর পুডিং চেখে দেখতে বললেন ঐশী। নারকেলের দুধে বানানো এই পুডিংয়ের স্বাদ এতটাই হিম হিম ঠান্ডা ছিল যে গরমে সবাই পেলেন একধরনের প্রশান্তি। এটা দেখে ঐশীও তখন তাৎক্ষণিভাবে এর নাম দেন সুদিং পুডিং।
বর্ণিল খাবারদাবার ২০২২–এর প্রচ্ছদের জন্য এবার রাঁধলেন ঐশী। রেসিপির মধ্যে ছিল শর্ষের বিফ তেহারি, বিফ স্টেক, পাটিসাপটা, মুগের ডালের বরফি আর সুদিং পুডিং। এই পুডিংয়ের সুদিং নামটা কিন্তু শুট করতে গিয়েই পাওয়া গেল। প্রচ্ছদের শুটের দিন ছিল বেশ গরম। শুট শেষে সবাই যখন গরমে ক্লান্তশ্রান্ত, সবাইকে তখন তাঁর পুডিং চেখে দেখতে বললেন ঐশী। নারকেলের দুধে বানানো এই পুডিংয়ের স্বাদ এতটাই হিম হিম ঠান্ডা ছিল যে গরমে সবাই পেলেন একধরনের প্রশান্তি। এটা দেখে ঐশীও তখন তাৎক্ষণিভাবে এর নাম দেন সুদিং পুডিং।
নিজে শাকসবজি খেতে ভালোবাসলেও অন্যদের জন্য যেকোনো পদই রান্না করতে পারেন ঐশী। মিষ্টান্ন আর ডেজার্ট তৈরিতেও সুখ্যাতি আছে তাঁর। পাটিসাপটার মতো চেনা রেসিপিও তাঁর হাতে পায় ভিন্নতা। ‘আসলে রান্না ব্যাপারটাই এমন। একই উপকরণ ব্যবহার করেও হাতবদলের সঙ্গে সঙ্গে বদল যায় রান্নার স্বাদ,’ বলছিলেন ঐশী।
ঐশীর হাতের রান্না নুডলস খেয়ে পরিবারের সবাই নাকি এতই মুগ্ধ যে তাঁদের ধারণা, একবার যিনি এই নুডলস খেয়েছেন, কোনো দিন তিনি আর এর স্বাদ ভুলতে পারবেন না।
ঐশীর রান্নার বিশেষ ভক্ত তাঁর দিদুনী (মেজ চাচাতো বোন) আর ভাগনিরা। তাঁদের জন্য মাঝেমধ্যেই রান্নাঘরে ঢুকতে বাধ্য হন ঐশী। যৌথ পরিবারে ঐশীর বসবাস। ঈদ বা কোনো বিশেষ উৎসবে কাজিনরা যখন বাসায় আসেন, তখন চলে জম্পেশ আড্ডা। সেই সময় ভারী রান্নার ভার যদিও বড়দের ওপর থাকে, তবে এবারের ঈদে তাঁদের জন্য বিশেষ কিছু করার পরিকল্পনা আছে ঐশীর। আড্ডার সময় তো আর ভারী খাবার চলে না। ভাইবোনদের জন্য এই সময় তাই বিফ স্টেক বানাবেন ঐশী।
এত মজার মজার খাবার রান্না করতে জানলেও ঐশী নিজে কিন্তু খেতে ভালোবাসেন খুব হালকা খাবার। পিপুলশাক আর আলু দিয়ে রান্না করা বাইম মাছ ঐশীর সবচেয়ে পছন্দের খাবার। ভালোবাসেন থানকুনিপাতার ভর্তা। বলছিলেন, নানির হাতের মেটে আলু দিয়ে শোল মাছের তরকারির মতো সুস্বাদু খাবার নাকি তিনি কোথাও খাননি।