পরির জন্মদিনে...

পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে

মনের বাক্স

তোমাকে এখনো মিস করি

আচ্ছা, অতীতের স্মৃতি কি তোমার আজও মনে পড়ে? সেই রেললাইনে বসে প্রেম করার দিনগুলো কি মনে পড়ে? আমার নিয়মিত সেসব কথা মনে পড়ে, আর তখন চোখের জল ধরে রাখতে পারি না। তখন ভাগ্যকে জিজ্ঞেস করি, তোমাকে কেন আমার কাছ থেকে নিয়ে গেছে? কান্নাকাটি করে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে যায়। জানো, এখন মন খারাপের কথাগুলো কারও কাছে বলতে পারি না। তুমি চলে যাওয়ার পর আমার জীবনটা একদম নষ্ট হয়ে গেছে। কেউ বুঝতে চায় না আমাকে। আমার মনের কথাগুলো তুমি ছাড়া কেউ বোঝে না। তোমার মতো করে কেউ জিজ্ঞেস করে না, ‘তোমার কী হয়েছে জান?’

আচ্ছা, আমার জম্মদিনের তারিখটাও কি ভুলে গেছ? এখনো অক্টোবরের ২১ তারিখ আসে। কিন্তু রাত ১২.০১ মিনিটে নিয়ম করে কেউ শুভেচ্ছা জানায় না। আচ্ছা, আমদের কি আবার দেখা হবে, কোনো চেনা–অচেনা রাস্তায়?

তোমার বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমার মুঠোফোনটা একবারের জন্যও বন্ধ করিনি। আমার শুধুই মনে হতো যে তুমি ফোন করবে। আসলে অনেক বোকা ছিলাম আমি, তাই না? অনেক কথা জমে আছে, কিন্তু বলা হয় না। ভালো থেকো প্রিয়, ভালো রেখো তোমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলোকে।

নুর হাসান

এভাবে তোমাকে ভালোবাসব ভাবিনি

হে প্রিয় কণা, সহস্র চেনা হয়েও কেন তুমি অচেনা। সকাল-সন্ধ্যা, রাতভর শুধু তোমায় খুঁজে ফিরি। তোমাতেই মন থাকে বিভোর। তুমিই আমার কল্পরাজ্যের একটিমাত্র কল্পনা। তুমি মনে পড়ো ততবার, যতবার তুমি হয়তো নিশ্বাসও নাও না। আগে তোমায় দেখিনি, তবে মায়ের কাছ থেকে তোমার গল্প শুনেছি। বুঝতে পারিনি মাত্র অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমার মনের রাজপ্রাসাদে আমাকেই রাজবন্দী করবে। তোমার ওই নির্মল হাসি আর সুকণ্ঠের বাক্যবাণ প্রতিনিয়তই আমার মনের অঙ্গনে বজ্রপাতের সৃষ্টি করে। তুমি জানো না, জীবনে প্রেম না করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মন আজ উন্মাদ হয়ে বাঁধ ভেঙে তোমার কাছেই ছুটে চলেছে। প্লিজ, ফিরিয়ে দিয়ো না।

কণা, দিনাজপুর

ভাই-বোন এক মধুর সম্পর্ক

পৃথিবীতে সম্পর্কের অভাব নেই। অনেক সম্পর্কের মধ্যে একটি পবিত্র ও মধুর সম্পর্ক হলো ভাই-বোনের সম্পর্ক। আমার একটা ছোট ভাই আছে। আমাকে দাদাভাই বলে ডাকে। ডাকটায় এক অন্য রকম মায়া লাগে। এই জীবনে সবকিছু থাকলেও একটা বোনের অভাব মাঝেমধ্যে মনটাকে বিষাদে ভরিয়ে দেয়। স্বপ্নে যেদিন ভাই ডাকটা শুনেছিলাম, তখন থেকেই বোনের প্রতি এক অদ্ভুত মায়া জন্মে। যা-ই হোক, ভাই-বোনের সম্পর্ক নিয়ে বলতে গেলে অনেক অনেক লিখলেও মন ভরবে না। আজ ছোট ভাইটার থেকে অনেক দূরে আছি। দোয়া করি ভাইটার জন্য। অনেক অনেক মিস করি ভাই তোমাকে।

সানজিদ আহমেদ, সরকারি আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ

পরির জন্মদিনে

বিকেলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতাম প্রতিদিন। কিন্তু সেদিন বন্ধুদের সঙ্গে না গিয়ে একা হাঁটতে হাঁটতে মাঠের দিকে গেলাম। এক কোণে বসে খেলা দেখছিলাম। সেখানেই একটা ছোট্ট শিশুকে দেখলাম চা বিক্রি করছে। কিন্তু তার মন পড়ে আছে, মাঠের সমবয়সী ছেলেমেয়েদের খেলার দিকে। ওর কাছ থেকে এক কাপ চা নিয়ে নামটা জানতে চাইলাম। বললাম, ‘খেলবা নাকি ওদের সঙ্গে?’ বলল, ‘কী কচ্ছেন ভাই! খেললে আমার দিন চলবি?’ শুনে পকেটে হাত দিলাম। পকেটে একটা ৫০০ টাকার নোট ছিল। দিয়ে বললাম, ‘যাও এবার খেলো।’ আনন্দে ওর চেহারাই পাল্টে গেল।

যতক্ষণ মাঠে খেলছিল, ততক্ষণ তার মুখ থেকে একমুহূর্তের জন্যও হাসি ছোটেনি। খেলা শেষ করে আমার কাছে এলে বললাম, ‘আজ একটা পরির জন্মদিন। দোয়া করো সেই পরির জন্য।’ কথাটি শুনে শিশুটা আমার দিকে হাঁ করে তাকাল। আর দেরি না করে সোজা চলে আসি। ৩১ ডিসেম্বর ছিল তোমার জন্মদিন। আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্মদিনের ছোট্ট উপহার এই শিশুর হাসিমুখ। কেক কাটার চেয়ে সেটা তো আর কম কিছু না। ভালো থেকো প্রিয়।

আমার পরিচয় নাহয় গোপনই থাক

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’