প্রিয়তম পরস্ত্রী
পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
সেই স্মৃতিগুলো
ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা এখনো খুব মনে পড়ে। কতই না মধুর ছিল সেই দিনগুলো! কত হাসি-তামাশা, মান-অভিমান, আনন্দ-দুঃখ জড়িয়ে ছিল সেই দিনগুলোর সঙ্গে। ভাবাই মুশকিল। জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে আবেগে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। কখনো কখনো আবার বুকের বাঁ পাশে প্রচণ্ড ব্যথা করে। জানি, এই জীবনে আর সেই দিনগুলো কখনোই ফিরে পাব না। প্রকৃতির নিয়মে তা যে আর কখনোই ফিরে পাওয়ার নয়। কিন্তু তারপরও বড্ড ইচ্ছা করে সেই দিনগুলোকে ফিরে পাওয়ার।
আমার কাছে মন ভালো করার মহৌষধ হলো ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো, যা এনে দেয় মনে অন্য রকম প্রশান্তি। আমি সত্যিই পারব না ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো ভুলতে। আর তাই তো সেই স্মৃতিগুলোকে রেখে দিয়েছি আমার মনের গহিনে ছোট্ট সোনালি সিন্দুকে।
জেসমিন আক্তার, দর্শনা, রংপুর
প্রেমের শুরু থেকে শেষ
আমার তার সঙ্গে প্রথম কথা হয় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। তার নাম নাজমুন নাহার, ডাকনাম মমি। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী। প্রথমে আমরা ফোনে কথা বলা শুরু করি। আমাদের একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়। জানুয়ারির ৭ তারিখ যখন আমি প্রথম তার সঙ্গে দেখা করতে যাই, তাকে দেখে আমি খুব অবাক হই। এত সুন্দর ছিল সে। তার মায়াবী চেহারা, তার চোখের চাহনি কোনো কিছুর কম ছিল না। কথা বলা, দেখা করা—এভাবেই চলতে থাকে আমাদের প্রেম। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চে দেশে লকডাউন এল। নোটিশ এল ১৭ তারিখে তাকে কলেজের হোস্টেল ছেড়ে দিয়ে বাসায় চলে যেতে হবে। তার একটা সমস্যা ছিল, সে বাসায় থাকলে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারত না। বাসায় চলে যাওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে আমার খুব কম কথা বলার সুযোগ হতো। এই কম কথা বলাতে আমাদের একে-অপরের প্রতি সন্দেহ শুরু হয়। এই সন্দেহ থেকে আমাদের ভালোবাসাটা বিছিন্ন হয়ে যায়। এখনো আমার তার কথাই মনে পড়ে, কিন্তু কিছু করার নেই।
সাঈদ মেহেদি, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
প্রিয়তম পরস্ত্রী
অবশেষে তোমার হাতটাই শুধু ছুঁতে পারলাম। ২৭ বছর পর। যখন তোমার আপন মানুষ ছিলাম, তখন মোবাইল ফোন ছিল না। ইমো, ভিডিও কল, ফেসবুক, চাটিং—এসবের কিছুই ছিল না। ছিল শুধু চোখে চোখে চৌকিদারি। আর লিখতে চিঠি। মধুর মমতায় কত কিছু লিখতে আমায় অস্পষ্ট ও ভুল বানানে। কিছু বুঝিনি, কিছু বুঝে নিতে হয়েছে। কত চিঠি লিখেছ আমায়। কোনোটা পেয়েছি, কোনোটা খরস্রোতা নদীতে ফেলা জিও ব্যাগের মতো অতল গভীরে হারিয়ে গেছে। যেমন তুমি এখন হারিয়ে গিয়েছ। সংসারের নানা গল্প ছেলে, মেয়ে, বাসাবাড়ি, ওর আব্বু, ওর আব্বু শুনতে শুনতে কানে ঝিঁঝি লেগে হারিয়ে গিয়েছিলাম অতীতে। সংবিৎ ফিরে বুঝলাম, আমাকে ডেকেছিলে ভালোবাসতে নয়, কতটা সুখে আছ সেটা দেখাতে। যাত্রাপথের কোনো বাহনে মুখোমুখি বসে থাকা দুই যাত্রীর মতো হয়তো কিছু সময় বসে ছিলাম। সম্পর্কহীন, ভালোবাসাহীন ভিন্ন ভিন্ন গন্তবে৵ ফেরার নিত্য অভ্যস্ততায়। ভালো থেক, শুভকামনায়।
মো. আসকার সিদ্দিকী, নওগাঁ
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ই-মেইল: [email protected], ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA খামের ওপর ও ই-মেইলের subject–এ লিখুন ‘মনের বাক্স’