চোখে কাট ক্রিজ সাজের কৌশল

ষাটের দশক থেকে হাল আমলের মেকআপ ধারায় চোখের খুব পরিচিত একটি মেকআপ হলো ‘কাট ক্রিজ’। চোখের পাতার ভাঁজ পড়া অংশ যে নির্দিষ্ট একটি কৌশলে সাজানো হয়, সেটিই কাট ক্রিজ আই মেকআপ। চোখের ভাঁজের অংশটিই মূলত ক্রিজ। কাট ক্রিজ সাজটাও কঠিন কিছু নয়। কয়েকটি সহজ ধাপেই চোখে আনা যায় এই সাজ।

চোখের এই মেকআপের মাধ্যমে চোখ আকারে বেশ বড় দেখা যায়
ছবি: পেকজেলসডটকম

কেন করা হয় কাট ক্রিজ


প্রথমেই বলা হয়েছে চোখের পাতার ভাঁজে করা হয় এই মেকআপ। চোখের পাতার ভাঁজ ও ভ্রুর মাঝখানের জায়গাটি বেশি দেখানোর জন্য ও চোখের ভাঁজে গভীরতা আনতে কাট ক্রিজ করা হয়। চোখের এই মেকআপের মাধ্যমে চোখ আকারে বেশ বড় দেখা যায়। এ ছাড়া চোখের আকারকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতেও কাট ক্রিজ করা হয়। আকারে ছোট বা বড় যে কোনো চোখেই সহজে মানিয়ে যায় কাট ক্রিজ আই মেকআপ।

প্রাকৃতিক রঙে কাট ক্রিজ সাজের জন্য যা দরকার হবে: প্রাইমার, ত্বকের রঙের সঙ্গে মেলে এমন ফাউন্ডেশন বা কনসিলার ও বাদামি আইশ্যাডো।

ছোট বা বড় যে কোনো চোখেই সহজে মানিয়ে যায় কাট ক্রিজ আই মেকআপ
ছবি: পেকজেলসডটকম

যেভাবে করবেন


প্রথমেই মুখমণ্ডল ও চোখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এবার প্রয়োজন অনুসারে প্রাইমার নিয়ে চোখের ওপর ও নিচের অংশ মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চোখের পাতার ভাঁজে একটি আইব্রাশের মাধ্যমে বাদামি আইশ্যাডো দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আইশ্যাডো যেন ক্রিজের মধ্যে থাকে। এবার ভাঁজের নিচে অর্থাৎ চোখের পাতায় কনসিলার বা ফাউন্ডেশনের আবরণ লাগান। এ জন্য সরু ধরনের তুলি দরকার। যাতে ক্রিজ আর চোখের পাতার মধ্যে দাগ দিয়ে দুটি অংশ আলাদা করা যায়। এবার ক্রিজে বাদামি আইশ্যাডো দিয়ে এটিকে গাঢ় করে তুলুন। এবার আইলাইনার ব্যবহার করে চোখের আকার আরও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। শেষ মাশকারা দিলেই শেষ হবে প্রাকৃতিক রঙে কাট ক্রিজ আই মেকআপ।

যাঁরা রঙিন কাট ক্রিজ করাতে চান, তাঁরা চোখের পাতায় কনসিলার ব্যবহারের পর তার ওপর পছন্দ অনুযায়ী আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন
ছবি: পেকজেলসডটকম

এ ছাড়া যাঁরা রঙিন কাট ক্রিজ করাতে চান, তাঁরা চোখের পাতায় কনসিলার ব্যবহারের পর তার ওপর পছন্দ অনুযায়ী আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন। অর্ধেক কাট ক্রিজ করাও প্রায় একই রকম পদ্ধতি। এর জন্য শুধু আপনাকে ক্রিজ ত্বকের রঙের কাছাকাছি আইশ্যডো দিয়ে কেটে চোখের শেষ অংশ থেকে মাঝ পর্যন্ত চোখের পাতায় গাঢ় আইশ্যাডো ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: আর্টডেকো