উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়তে জেন্ডার সমতাভিত্তিক বাজেট গুরুত্বপূর্ণ

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে বাংলাদেশে নারী ও পুরুষের অবস্থা ও অবস্থান ভিন্ন। দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে নারী-পুরুষের অবস্থা ও অবস্থানের ব্যবধান দ্রুতই কমিয়ে আনতে হবে। জাতীয় বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নকালে সরকার রাজস্ব আদায় এবং ব্যয় বরাদ্দের ক্ষেত্রে জেন্ডার সংবেদনশীল হলে সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্য নিশ্চিতভাবেই কমে আসবে। জেন্ডার সমতাভিত্তিক সম্পদ বণ্টন নিশ্চিত হলে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্যই সুযোগের সমতা তৈরি হয় এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠী উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূলধারায় সম্পৃক্ত হয়। এ বিবেচনায় বাংলাদেশের সচেতন জনগোষ্ঠী জাতীয় বাজেটকে জেন্ডার সংবেদনশীল হিসেবেই দেখতে চায়।

নারীর রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় জেন্ডার সমতা আনয়ন, প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, পাঁচ বছরের নিচের শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, টিকাদানের আওতা বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধসহ দারিদ্র্য হ্রাস ইত্যাদির ক্ষেত্রে এমডিজিতে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। সরকারি নীতি-কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জেন্ডার গ্যাপ সূচকের অগ্রগতি হয়েছে। বৈশ্বিক জেন্ডার গ্যাপ প্রতিবেদনের হিসাবে ২০০৬ সালে বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীর অগ্রগতি ছিল ৬২.৭ শতাংশ, যা ২০১৮ সালে ৭২.১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০০৬ সালে ১১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯১ তম। ২০১৮ সালে ১৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৪৮তম অবস্থানে এসেছে। বর্তমানে জেন্ডার গ্যাপ সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পর যথাক্রমে মালদ্বীপ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানের অবস্থান।

নারী-পুরুষের সমতা অর্জনকে বেগবান করতে হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপক হারে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার মান উন্নয়ন, সৃজনশীল কর্মমুখী শিক্ষা এবং গবেষণায় নারীর অংশগ্রহণ ও অবদান প্রয়োজন। নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণে বাজেটে বরাদ্দ এবং বাস্তবায়নের সৃজনশীল উদ্যোগ প্রয়োজন। কেন্দ্রে এবং তৃণমূলে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন সময়ের দাবি। সর্বোপরি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হতে চাইলে আমাদের সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের হার বর্তমানে ৩৬.৩ শতাংশ, যা মধ্যম আয়ের দেশের সূচকের চেয়ে অনেক কম। শ্রমবাজারে নারীর মজুরি-বৈষম্য নিরসনে পদ্ধতিগতভাবে সরকারি তদারকি প্রয়োজন। নারী-উদ্যোক্তা সৃষ্টির সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্যোগ থাকতে হবে বাজেটে, বিশেষত বাস্তবায়নে। নারী-উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও সেবা বিপণন এবং বাজারজাতকরণে পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং কালক্রমে তা দেশের বাইরে সম্প্রসারণ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জয়িতা, এফবিসিসিআই এবং উইমেন চেম্বার নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণসহ সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ করছে। এ প্রচেষ্টায় তৃণমূলের নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী নিগৃহীতাদের জন্য ভাতা, ভিজিডির আওতায় খাদ্য ও আয় বৃদ্ধিমূলক কাজে সহায়তা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, দরিদ্র ‘মা’দের মাতৃত্ব ভাতা এবং কর্মজীবী ল্যাকটেটিং ‘মা’ দের ভাতা প্রদান কর্মসূচিগুলো যাতে প্রকৃত উপকারভোগীদের নিয়েই হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারকে এ কাজে সফল হতে হলে তথা কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তুলতে চাইলে যোগ্য ও সৃজনশীল স্থানীয় নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। স্থানীয় নেতৃত্বের সততা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে এর অবসানের পদ্ধতিও খুঁজতে হবে এবং সেখানে গণতন্ত্র স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করতেই হবে। কেননা স্থানীয় সরকার তৃণমূলে গণতন্ত্র চর্চার অন্যতম জায়গা। দলনিরপেক্ষ এবং সমাজসেবায় আগ্রহী জনগোষ্ঠী সামাজিক নেতৃত্ব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও বাংলাদেশ। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সামাজিক নেতৃত্বর যূথবদ্ধ প্রচেষ্টা না থাকলে সমাজের প্রকৃত পিছিয়ে পড়াদের সামনে নিয়ে আসা দুষ্কর।

সরকার কর্তৃক সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, শতভাগ ভর্তি এবং শিক্ষাচক্র সম্পন্নের ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। মা দিবস আয়োজন, মিড ডে মিল, উপবৃত্তির অর্থ শিক্ষার্থীদের ‘মা’-দের কাছে দেওয়ার সুযোগ রেখে উপবৃত্তি প্রদানের নীতিমালা প্রণয়ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

এখন মনোযোগী হতে হবে কিশোরী শিক্ষার্থীদের শারীরিক/মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কিত যথাযথ কাউন্সেলিং, বিদ্যালয়গুলোতে হেলথ কর্মসূচি সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন, বিদ্যালয়গুলোর নিকটবর্তী এলাকায় স্থানীয় থানার টহল নিশ্চিত করা, যাতে মেয়েরা ইভ টিজিংয়ের শিকার না হয়। প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বিশেষত ছাত্রীদের জন্য সৃজনশীল শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। স্যানেটারি ন্যাপকিন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মজুত প্রতিটি বিদ্যালয়েই রাখা প্রয়োজন। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে দক্ষ, যোগ্য এবং সৃজনশীল নারী ও পুরুষ শিক্ষক নিয়োগের চিন্তা করা প্রয়োজন, কেননা আমাদের শিক্ষা এবং শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং এর অধীন দপ্তরে কর্মরত নারী কর্মকর্তা ৩১ শতাংশ এবং কর্মচারীদের মধ্যে নারী ৩৬ শতাংশ। নারী কর্মকর্তা, কর্মচারী বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকেরা গ্রামে থাকতে চান না, এটা বাস্তবতা। হাল ছেড়ে না দিয়ে গ্রামে, মফস্বলে চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য সৃজনশীল উপায় খুঁজে বের করতে হবে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সেখানেই ভালো কাজ করে, যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ দক্ষ, জনবান্ধব ও শক্তিশালী। সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সক্রিয় করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন উদ্যোগ প্রয়োজন।

অন্যান্য বছরের মতো নারী উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং নারীর সুবিধার্থে বরাদ্দ বাজেটের বিবরণ প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন ২০১৯-২০ প্রকাশ করেছে। এ বছর ৪৩টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বাজেট নারীদের উন্নয়নে গৃহীত নীতি-কৌশল, কার্যক্রম, বরাদ্দের বিস্তারিত বিশ্লেষণ এ প্রকাশনায় তুলে ধরা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে নারী উন্নয়নে বরাদ্দ ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা যেখানে মোট বাজেটের তুলনায় নারী উন্নয়নে বরাদ্দের ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং জিডিপির ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর মধ্যে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের মোট বাজেটের একটি বড় অংশ নারী উন্নয়নে ব্যয় হয়ে থাকে।

নারী উন্নয়নের ওপর মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোর প্রভাব যাচাইয়ের জন্য ১৪টি মানদণ্ড ব্যবহৃত হয়। নারীর স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা, ক্ষমতায়ন, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি, আইন ও ন্যায়বিচার ইত্যাদি এতে অন্তর্ভুক্ত। ১৪টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নারীরা এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ব্যাপক উপকৃত হবে এবং আমরা এসডিজির লক্ষ্যগুলো অর্জনে এগিয়ে যেতে পারব।

জন্মগতভাবে আমরা কেউ নারী, কেউ পুরুষ হয়ে জন্মাই, এটা অপরিবর্তনীয়। তবে সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত নারী-পুরুষের ভূমিকাই হলো জেন্ডার, যা চর্চা, আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা পরিবর্তন করা যায়। সমাজে যার যা প্রয়োজন, জেন্ডার মূলত তা নিশ্চিতের কথা বলে। জেন্ডার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অগ্রসরের কথা বলে। বর্তমানে আমাদের সমাজে নারীরা গুণগত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তায় পিছিয়ে আছে। তাই আমরা নারীদের অগ্রগমনের কথা বলছি, নারীদের জন্য সৃজনশীল বাজেট বরাদ্দ এবং বাজেট বাস্তবায়নের কথা বলছি। ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন, নারীদের আয়করে সুবিধা প্রদানসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজকে দ্রুতই এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।

সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর এগিয়ে যাওয়া তখনই নিশ্চিত হবে, যখন প্রবৃদ্ধি অর্জন প্রচেষ্টার পাশাপাশি সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে। সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে নারী মজুরি থেকে বঞ্চিত হবেন না, তাঁর জন্য বরাদ্দকৃত সেবা ও সুযোগ যথাযথভাবে পাবেন। নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না। সম্মানজনক জীবন যাপন করতে পারবেন এবং তাঁর সহজাত সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে নিজ, পরিবার এবং দেশের এগিয়ে যাওয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবেন।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়ছে। দশম জাতীয় সংসদে (২০১৪-২০১৮) সংরক্ষিত আসনে নারী সাংসদ ছিলেন ৫০ জন। নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৮ জন। উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আরও ৪ জন। মোট ৭২ জন নারী সংসদ সদস্য, যা মোট সদস্যের ২০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। নবম সংসদে (২০০৯-২০১৪) ছিলেন ৬৩ জন, যেখানে সংরক্ষিত ৪৫ এবং নির্বাচিত ১৯ জন, যা ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ। অষ্টম সংসদে (২০০১-২০০৬) ছিলেন ৫২ জন, যা ১৫ দশমিক ১ শতাংশ, যেখানে সংরক্ষিত ৪৫ জন এবং নির্বাচিত ৭ জন। সপ্তম সংসদে (১৯৯৬-২০০১) ৩৮ জন, যা ১১ দশমিক ৫ শতাংশ, যেখানে সংরক্ষিত ৩০ জন এবং নির্বাচিত ৮ জন।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, সংখ্যা বাড়লেও আমরা কি অর্থবহ এবং কার্যকর নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে পারছি? এ কথা অনস্বীকার্য যে, সংরক্ষণ পদ্ধতিতে সরাসরি নির্বাচন এবং প্রত্যেক সাংসদের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা না থাকায় জনসম্পৃক্ত উন্নয়ন প্রচেষ্টা এবং জনসম্পৃক্ত রাজনীতি চর্চা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সম্ভাবনাময় নারী নেতৃত্ব। সংরক্ষিত আসনের নারী নেতৃত্ব জনগণের কাছে দায়বদ্ধ হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিতও হচ্ছে।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই বসবাস করে গ্রামে। তাদের যথাযথ নেতৃত্ব দিয়ে এবং তাদের জন্য সরকারি সুবিধাগুলো স্বচ্ছতার সঙ্গে নিশ্চিত করে অগ্রগমনের দায়িত্ব নিতে পারে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় মানুষের অগ্রগমনে স্থানীয় সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিশেষত নারী নেতৃত্বই প্রয়োজন। জেন্ডার বাজেটের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি বিশেষত নারী প্রতিনিধিদের সচেতনতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা প্রয়োজন। সংরক্ষিত নারী আসনের পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ডভিত্তিক সরাসরি নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার কথাও চিন্তা করা প্রয়োজন।

সাইফ আহমেদ: কনসালট্যান্ট, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ