পাবিপ্রবিতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার জন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, ২৮ আগস্ট। ছবি: পার্থ সাহা
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার জন্য পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যানার টাঙানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন, ২৮ আগস্ট। ছবি: পার্থ সাহা

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে ডেঙ্গু আশঙ্কাজনক রূপ ধারণ করছে। ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এখনই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে ডেঙ্গু মহামারি সমস্যায় রূপ নিতে পারে। তবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করে অল্প দিনেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ জন্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে।

গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ‘আমাদের দায়িত্ববোধ, ডেঙ্গু করি প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। পাবিপ্রবি বন্ধুসভার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্রে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাবিপ্রবিসভার বন্ধু নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. ফারুক আহমেদ। সভায় বক্তব্য দেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রীতম কুমার দাস এবং রসায়ন বিভাগের সাবেক সভাপতি রতন চন্দ্র পাল। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য ড. আনোয়ারুল ইসলাম।

মো. ফারুক আহমেদ বলেন, সারা দেশে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে এটি মহামারি সমস্যায় রূপ নিতে পারে। ডেঙ্গু রোগের বিস্তার থেকে পরিত্রাণ পেতে একটু সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা জরুরি।

প্রীতম কুমার দাস বলেন, ডেঙ্গুর ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। মশার আবাস্থল ধ্বংস করতে পারলেই ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব হবে। এখনই কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে শিশু, বয়োবৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগ জটিল হয়ে উঠতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু রোগকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে এ বিষয়ে তা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আলোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কেবলমাত্র আমরা সচেতন হলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আলোচনা সভায় বন্ধুসভার উদ্যোগে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আলোচনা সভা শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতন করার জন্য প্রকৌশল ভবন এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এবং তথ্য কেন্দ্রে এ সংক্রান্ত তথ্য সংবলিত দুটি ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২ সেপ্টেম্বর সারা দেশের ১১৭ টি বন্ধুসভার বন্ধুরা একযোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে অংশ নেবেন।

*দেলোয়ার হোসেন দিহান যুগ্ম আহ্বায়ক, পাবিপ্রবি বন্ধুসভা ও সমন্বয়ক, পাবনা কিশোর আলো বুক ক্লাব