মুক্ত আসরের বাংলাদেশকে জানো অনুষ্ঠান এবার গাজীপুরে

‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সঙ্গে। ছবি: মুক্ত আসর
‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা অতিথিদের সঙ্গে। ছবি: মুক্ত আসর

বাংলাদেশকে জানাতে হবে। জানার জন্য তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমটি বই, দ্বিতীয়টি বই, তৃতীয় বই। এর মাধ্যেম আমাদের দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারবে। একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে হলে তোমাদের তা জানতে হবে।

‘বাংলাদেশকে জানো’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ইতিহাস অলিম্পিয়াড জাতীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক এমরান জাহান।

‘বাংলাদেশকে জানো’ শিরোনামে স্কুলভিত্তিক কর্মসূচির আয়োজন করে মুক্ত আসর। এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের জয়দেবপুরের শহীদ ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এর আগে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা। ছবি: মুক্ত আসর
‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা। ছবি: মুক্ত আসর

চিকিৎসক শর্মি আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তোমাদের যা কিছু করতে ইচ্ছে হয়, তা করবে। শুধু ক্লাসে বই পড়লে চলবে না। পাঠ্যবই ছাড়া বিভিন্ন বই পড়তে হবে।

‘বাংলাদেশকে জানো’ কর্মসূচির শুরুতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে ৩০ মিনিট কুইজভিত্তিক লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পর্ব।

মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের কথা শিক্ষার্থীদের শোনান মুক্তিযোদ্ধা আবুল হুসেন। তিনি তরুণ বয়সে ৩ নম্বর সেক্টরের যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বেশ কয়েকটা বড় বড় যুদ্ধে অংশ নেন। গজারিয়ায় ট্রেন উড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি শুনে শিক্ষার্থীরা রোমাঞ্চিত হয়ে ওঠে।

‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে গাজীপুরের জয়দেবপুরের শহীদ ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: মুক্ত আসর
‘বাংলাদেশকে জানো’ অনুষ্ঠানে গাজীপুরের জয়দেবপুরের শহীদ ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: মুক্ত আসর

শহীদ ক্যাডেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ২৫০ জন অংশগ্রহণ করে। তিনটি বিভাগে চারজন করে ১২ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার হিসেবে বই ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মুক্ত আসরের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবু সাঈদ, ভাষাশহীদ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক শহিদুল ইসলাম শহীদ, মুক্ত আসরের সদস্য সংগীতা আচার্য, অমিত কুমার, বেনী আমীন প্রমুখ।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে ‘ধনধান্য পুষ্পভরা’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান ‘বাংলাদেশকে জানো’।