গ্লোবাল পিস কান্ট্রি লিডার অ্যাওয়ার্ড পেলেন শারমিন লীনা

ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে ‘গ্লোবাল পিস কান্ট্রি লিডার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন শারমিন লীনা। ছবি: সংগৃহীত
ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে ‘গ্লোবাল পিস কান্ট্রি লিডার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন শারমিন লীনা। ছবি: সংগৃহীত

মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে (জিওয়াইপিএ) ‘গ্লোবাল পিস কান্ট্রি লিডার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন শারমিন লীনা।

গত ২৮ আগস্ট শুরু হয় পাঁচ দিনের এ আন্তর্জাতিক যুব শান্তি প্রতিনিধি সম্মেলন। শেষ হয় পয়লা সেপ্টেম্বর।

মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে দেশটির যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এনজিও সংস্থা রাফির উদ্যোগে মালদ্বীপ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক যুব শান্তি প্রতিনিধি সম্মেলন। সম্মেলনে ৩০ দেশের প্রায় ২০০ জন তরুণ প্রতিনিধি যোগ দেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ থেকে শারমিন লীনার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধির দল অংশ নেয়।

মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত
মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রামে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ দিনের এ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ২০০ জন তরুণ প্রতিনিধি মালদ্বীপের রাজধানী মালের হুলহু সেন্ট্রাল পার্কে তাদের নিজ নিজ দেশের জাতীয় পতাকা তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তরুণ প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দেশে কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় সে সম্পর্কে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাংলাদেশের শারমিন নাহার লীনা উপস্থিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত অতিথি, সাংবাদিক, তরুণদের সামনে বক্তব্যের মাধ্যমে তার চিন্তা চেতনা তুলে ধরেন। তিনি প্রশংসিতও হন। সেই সঙ্গে তাঁকে গ্লোবাল পিস কান্ট্রি লিডার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। শারমিন লীনা বাংলাদেশে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে যুব সমাজকে সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত করে সৃজনশীল কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান করেন।

ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর সম্মেলনে লাল সবুজ পতাকা হাতে বাংলাদেশের প্রতিনিধির দল। ছবি: সংগৃহীত
ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ পিস অ্যাম্বাসেডর সম্মেলনে লাল সবুজ পতাকা হাতে বাংলাদেশের প্রতিনিধির দল। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে শারমিন লীনা বলেন, বাংলাদেশের নাম বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। পুরস্কার অর্জন বড় বিষয় নয় সমাজে কাজ করাটা বড় বিষয়। পুরস্কার প্রাপ্তি উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। এভাবে সারা বিশ্ব যেন বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারি সেই জন্য সবার কাছে সমর্থন এবং ভালোবাসা চান তিনি।

শারমিন নাহার লীনা এর আগে ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও থাইল্যান্ডে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন। মাগুরার সন্তান শারমিন নাহার লীনা টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির এক সংবাদ উপস্থাপক। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কাজ করেছেন ইন্ডিয়ান ইমপোর্টার্স চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির যোগাযোগ উপদেষ্টা হিসেবেও। বর্তমানে তিনি এমএম গ্রুপ অফ কোম্পানির ওভারসিজ কমিউনিকেশন অফিসার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।