জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে শৌচাগারের দরজা ভাঙা
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায় প্রসাধনকক্ষের শৌচাগারের দরজা ভাঙা। আবার কোনোটির ছিটকিনি নষ্ট।
চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন ওই শৌচাগারগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। নিতান্ত অসহায় হয়ে ব্যবহার করছেন অনেকেই। তবে শৌচাগারের সামনে সব সময় থাকেন একজন অস্থায়ী নিরাপত্তা ‘প্রহরী’। তাঁর কাজ শৌচাগার পাহারা দেওয়া। কেউ যেন দরজা ঠেলে প্রবেশ না করেন, এ জন্যই তিন পাহার দেন। কারণ পাহারায় কেউ না থাকলে বোঝার উপায় নেই যে শৌচাগারের ভেতরে কেউ একজন আছেন। আর এত কষ্ট করে অন্যকে পাহারায় রেখে শৌচাগার ব্যবহার করার ঝামেলার যাচ্ছেন না অনেকেই।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকের ঘটনা। আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে দোতলার প্রসাধনকক্ষের একটি শৌচাগারে যেতে চাইলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজন বাধা দিলেন। তিনি বললেন, ভেতরে একজন লোক আছেন। একটু পর এক নারী বের হয়ে এলেন শৌচাগার থেকে। ভেতরে ঢুকতেই বাধা দেওয়ার বিষয়টি ততক্ষণে পরিষ্কার হওয়া গেল। দেখা গেল শৌচাগারের দরজার ছিটকিনি নেই। পাশের আরেকটি শৌচাগারের ভেতরে গিয়েও দেখা গেল, সেটিরও নেই কোনো ছিটকিনি। পাশের অন্য আর একটির সামনে যেতেই চোখে পড়ল দরজা ভেঙে শৌচাগারের ভেতরে রাখা আছে। এগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনেরা।
হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিতে এসে যাঁরা শৌচাগার ব্যবহার করছেন, তাঁরা বলছেন, হাসপাতালের শৌচাগারের অবস্থা যাচ্ছে তাই। একজন নারী একা একা হাসপাতালে এলে কীভাবে শৌচাগার ব্যবহার করবেন। সবার পক্ষে কি পাহারাদার নিয়ে শৌচাগারে যাওয়া সম্ভব?
আশপাশে হাসপাতালের কাউকেই না পেয়ে চিকিৎসককে ব্যাপারটি জানানো হয়েছে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
*তাইয়্যেবুর রহমান রিয়াদ, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউডা)