বৃহত্তর নোয়াখালী বিতর্ক উৎসবে বিতার্কিকদের মিলনমেলা

প্রাণের উৎসবে সনদপত্র ও পুরস্কার পাওয়া বিতার্কিকেরা। টাউন হল মিলনায়তন, লক্ষ্মীপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: রাকিব হোসেন
প্রাণের উৎসবে সনদপত্র ও পুরস্কার পাওয়া বিতার্কিকেরা। টাউন হল মিলনায়তন, লক্ষ্মীপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: রাকিব হোসেন

তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো বিতার্কিকদের প্রাণের উৎসব ‘বৃহত্তর নোয়াখালী বিতর্ক উৎসব’। এতে নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিতার্কিক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী জেলা টাউন হল মিলনায়তনে লক্ষ্মীপুর ডিবেট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়। এ সময় সনাতনী, সংসদীয় ও আঞ্চলিক বিতর্কে মেতে ওঠেন বিতার্কিকেরা।

শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে বিতর্ক উৎসবের কার্যক্রম শুরু হয়। এবারের উৎসবে স্লোগান ছিল, ‘এসো হে বন্ধু মিলিত হই, যুক্তির এই মহামিলনে’।

সনাতনী বিতর্কের বিষয় ছিল ‘পয়লা বৈশাখ, ইউনিলিভার ও কোকা-কোলার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে’। সংসদীয় বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘মাদক ও কিশোর গ্যাং দূরীকরণে পরিবারের ভূমিকা মূখ্য’। এসব বিষয়ের পক্ষে ও বিপক্ষে তার্কিকেরা যুক্তি তুলে ধরেন।

এ ছাড়াও আঞ্চলিক বিতর্কে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নোয়াখালী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও ঢাকার বিতার্কিকেরা নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন।

লক্ষ্মীপুর ডিবেট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাজেদ আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা যুব উন্নয়নের উপপরিচালক মো. আবু জাফর, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তপন, বাংলাদেশ বেতারের উপ-বার্তানিয়ন্ত্রক মাসুদুর রহমান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান শরীফ, রায়পুর এল এম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিতর্ক–বিষয়ক কর্মশালা ও তারকাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ পর্বে অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকার অরণ্য আনোয়ার, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, রাইসুল হক চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান জাহিদ। এরপর প্ল্যানচেট বিতর্কে ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের চরিত্রে বিতর্ক করেন তার্কিকেরা।

পরে বিতার্কিক ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ‘বৃহত্তর নোয়াখালী বিতর্ক উৎসব-২০১৯’-এর শেষ হয়।