যাত্রীছাউনিতে ভাসমান দোকান
রাজধানীর একটি বাসস্ট্যান্ড। বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেক যাত্রী। বাস এলেই উঠে পড়ছেন। বাস আসতেই অনেকে উঠছেন কিন্তু ভিড় কমছে না। পাশেই একটি যাত্রীছাউনি রয়েছে কিন্তু কেউ বসছেন না। কারণ, যাত্রীছাউনিটি বসার উপযোগী নয়। সেখানে দোকানে চলছে কেনাবেচা।
এতক্ষণ বলছিলাম মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনির কথা। সম্প্রতি সেখানকার অবস্থা দেখার পরই মনে হয়েছে, দেখার কি আসলে কেউ নেই?
মোহাম্মদপুর বিআরটিসি ডিপোর পাশের যাত্রীছাউনিটির অবস্থাও খুবই নাজুক। সেটির বসার অনেকাংশ ভাঙা, কিছু অংশ ময়লা–আবর্জনায় ভরা। এ ছাড়া যাত্রীছাউনির ব্যবহারযোগ্য অংশে দোকান। সেই দোকানে শিঙারা, পুরি, কোমল পানীয়ের কেনাবেচা চলছে। দোকানের জন্য কাটাকাটির কাজ যা হয়, সবকিছু চলছে যাত্রীছাউনিতে। এর নিচে একটি ফ্রিজও রাখা আছে। তার পেছনেই চুলা বসিয়ে শিঙারা, পুরি, আলুর চপ, জিলাপিসহ নানান খাবার তৈরি হচ্ছে। দেখা গেল, যাত্রীছাউনির বসার জায়গায় একটি বড় পাত্রে আলু কেটে রাখা হয়েছে। অন্য একটি পাত্রে ময়দা গুলিয়ে রাখা হয়েছে। পাশেই ভাজার জন্য শিঙারা ও পুরি তৈরি হচ্ছে। সেখানে বসে একজন পেঁয়াজ কাটছেন। এ অবস্থায় সেখানে যাত্রীদের বসার কোনো সুযোগ নেই।
অনেকেই দোকানের শিঙারা-পুরি কিনে দাঁড়িয়ে দোকানের পাশেই খাচ্ছেন। আর এতে পথচলতি মানুষকে ফুটপাত থেকে নেমে সড়ক দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে।
এখানকার নিয়মিত একজন যাত্রী রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এ যাত্রীছাউনির অবস্থা এমনই। এটি ব্যবহারের উপযোগী নয়। কোথায় বসবেন? বসার জায়গা আছে? পরিবেশ আছে?
মোহাম্মদপুরের একজন বাসিন্দা জানান, অনেক সময় বৃষ্টি হলে যাত্রীছাউনিতে গিয়ে একটু আশ্রয় নেওয়া যায়। অনেক বয়স্ক লোক ও অসুস্থ লোক থাকেন। তাঁরা একটু বসতে পারেন। কিন্তু বসার পরিবেশ না থাকায় অনেকেই দুর্ভোগে পড়ছেন। বিশেষ করে অসুস্থ, বয়স্ক, নারী ও স্কুলগামী শিশুদের বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত।