১২ শ ও ১৬ শ-এর বিদ্যুৎ বিল একলাফে ৪৫ হাজার টাকা

জুলাই মাসের বিলের কপি। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই মাসের বিলের কপি। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের সিংড়ায় একটি ওয়ার্কশপের দোকানে এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। এর আগে প্রতি মাসে গড়ে বিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৬ টাকার মধ্যে হতো। আগের দুই মাসের তুলনায় সর্বশেষ মাসে বিল প্রায় ৩০ গুণ বেশি এসেছে।

পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পরই এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।

নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১–এর সিংড়া জোনাল অফিস থেকে বিল ইস্যু করা হয়েছে। বিলটি পাঠানো হয়েছে সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা বাজারের ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের দোকানমালিক শাহাদত হোসেনের নামে।

আগস্ট মাসের বিলের কপি। ছবি: সংগৃহীত
আগস্ট মাসের বিলের কপি। ছবি: সংগৃহীত

গত তিন মাসের বিলের কাগজে দেখা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের সেপ্টেম্বর মাসে বিল এসেছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। জুলাই মাসে এই দোকানের বিল ছিল ১ হাজার ২৮৬ টাকা। আগস্ট মাসে বিল এসেছিল ১ হাজার ৭১৯ টাকা। এগুলো তিন মাসের নিট বিল।

কোনো গ্রাহক যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, সেই বিল ওই গ্রাহককে পরিশোধ করতে হয়। সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে বিলম্ব মাশুল দিয়েও বিল পরিশোধ করা যায়। ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের দোকানমালিক শাহাদত হোসেন প্রায় প্রতি মাসেই বিল পরিশোধ করেন।

শাহাদত হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন বলেন, ‘এমন ভুতুড়ে বিল জীবনে দেখিনি। মিটার না দেখেই বিল লিখেছেন বলে আমার মনে হয়। গত মাসে বিল ঠিক এলেও এ মাসে বিল এসেছে ৪৫ হাজার টাকার ওপরে। এ বিল কাল্পনিক ছাড়া কিছু নয়।’

সেপ্টেম্বর মাসের বিলের কপি। ছবি: সংগৃহীত
সেপ্টেম্বর মাসের বিলের কপি। ছবি: সংগৃহীত

নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি বলেন, বিল ও মিটার রিডিংয়ে সংশ্লিষ্ট দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ বিল কেন এত বেশি এল, কী কারণ হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রাহক পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কারও যোগসাজশে বিল কমিয়ে নিতে পারেন। আবার এমনও হতে পারে যে ওই মাসে বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করা হয়েছে। অথবা আমাদের এখান থেকেও কোনো ভুল হতে পারে।