জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় দেশসেরা ২১ বৈজ্ঞানিক গবেষণাকর্ম নির্বাচিত

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সায়েন্টিফিক কংগ্রেস অন নন–কমিউনিকেবল ডিজিজেসে অংশগ্রহণকারী দেশের সেরা চিকিৎসকদের ২১টি গবেষণাকর্ম সেরা নির্বাচিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত সায়েন্টিফিক কংগ্রেস অন নন–কমিউনিকেবল ডিজিজেসে অংশগ্রহণকারী দেশের সেরা চিকিৎসকদের ২১টি গবেষণাকর্ম সেরা নির্বাচিত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশের চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে ২১টি সেরা গবেষণাকর্ম নির্বাচন করেছে ক্লিনিক্যাল রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ। দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত প্রথম সায়েন্টিফিক কংগ্রেস অন নন–কমিউনিকেবল ডিজিজেসে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা হয়েছে সেরা এই ২১টি গবেষণাকর্ম।

২১ ও ২২ অক্টোবর কংগ্রেস আয়োজনে সম্মাননা প্রদান করা হয় গবেষকদের। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) মিলনায়তনে দুদিনব্যাপী কংগ্রেসে প্রদর্শিত গবেষণাকর্ম ও পোস্টার থেকে দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জুরিবোর্ড নির্বাচন করে সেরা গবেষণাকর্ম।

বিএসএমএমইউর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন নানা মাত্রায় গবেষণা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এখন ভীষণ আগ্রহ নিয়ে গবেষণা করছেন। দেশে এ ধরনের কংগ্রেস আমাদের চিকিৎসকদের বহুমাত্রিক গবেষণা করতে মনোযোগী করে তুলবে। গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে গবেষকেরা নিজেদের দক্ষতা যেমন বিকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনি আমাদের নীতিনির্ধারণেও দিকনির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ বাড়ছে।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাতে অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। চিকিৎসকেরা যেমন দায়িত্ব পালন করছেন, তেমনি গবেষণাতেও মনোযোগ দিচ্ছেন। অসংক্রামক রোগের ওপর এত গবেষণা যে বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা করছেন, তা অবাক করে দেয়। এমন আয়োজন তরুণ চিকিৎসকদের ভিন্নমাত্রায় গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহমূলক একটি আয়োজন।’

কংগ্রেসের চেয়ার বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, চিকিৎসকেরা অনেক পরিশ্রম করেন। দিনে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা কাজ করেন অনেকেই। একদিকে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন, অন্যদিকে গবেষণায় নিজেকে স্থির রাখা একটি চ্যালেঞ্জ। তরুণ গবেষকেরা নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গবেষণায় ভীষণভাবে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ ধরনের কংগ্রেস শুধু তাঁদের অনুপ্রেরণায় দেয় না, দক্ষ চিকিৎসক হয়ে উঠতে সহায়তা করে।

গ্রামের ডায়াবেটিক রোগীদের অবস্থান, দেশের সাধারণ মানুষের স্ট্রোকের ঝুঁকিপ্রবণতা, দেশে স্টেম সেল গবেষণা, ভিটামিন ডির মাত্রার প্রভাব, রিউম্যাটিক রোগের ইকোকার্ডিওগ্রাফিক অ্যাসেসমেন্টের মতো বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ ও পোস্টার সেরা হিসেবে সম্মাননা লাভ করে। সমাপনী আয়োজনে ৯টি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি সেরা গবেষণাকর্ম ও পোস্টারকে পুরস্কৃত ও সম্মাননা দেওয়া হয়। সেরা গবেষণার ১১টিই ছিল নারী গবেষকদের গবেষণাকর্ম ও পোস্টার প্রদর্শনী।

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) শাহানা আক্তার রহমান, আইসিডিডিআরবির এইচএসপিএসডি সিনিয়র ডিরেক্টর ড্যানিয়েল রিডপ্যাথ ও কংগ্রেসের কনভেনর ও আইসিডিডিআরবির নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ ইনিশিয়েটিভ শাখার প্রধান ড. আলিয়া নাহিদ।

আইসিডিডিআরবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের (বিএমজে) একটি উদ্যোগ ক্লিনিক্যাল রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ।