'আন্তর্জাতিক যুব সম্মাননা' পেলেন সিসিএসের পলাশ

সম্মাননা ক্রেস্টের সঙ্গে পলাশ মাহমুদ। ছবি: লেখক
সম্মাননা ক্রেস্টের সঙ্গে পলাশ মাহমুদ। ছবি: লেখক

বাংলাদেশে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় দিল্লিতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন পলাশ মাহমুদ। তিনি বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনসাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) এবং কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ-এর (সিওয়াইবি) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক।

১৩ অক্টোবর দিল্লির অশোকা রোডে অবস্থিত অন্ধ্র ভবনের ভিআইপি হলে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ কনফারেন্স অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি ২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির রাজ্যসভার সদস্য নরেন্দ্র যাদব। এ ছাড়া ভারতের ন্যাশনাল ইয়ুথ প্রজেক্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা এস এন সুবা রাও, দিল্লির রাজ্যসভার সদস্য নরেন্দ্র যাদব, ভারতের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য দয়নেশ্বর মুলে, সাংসদ মনোজ তিয়ারি, ন্যাশনাল সাফাই কর্মচারী আয়ওজ-এর চেয়ারম্যান মনোহার জালা, প্রেসিডেন্ট গান্ধী পিচ ফাউন্ডেশন-এর প্রেসিডেন্ট কুমার প্রশান্ত, ন্যাশনাল সমাজকল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান দাদা ইদাতেসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

তবে ভিসা পেতে বিলম্ব হওয়ায় পলাশ মাহমুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। তাঁর পক্ষে সিসিএসের উপদেষ্টা ফিরোজ আলম সুমন সম্মাননা গ্রহণ করেন।

ভারতের ন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডি ফেডারেশন (এনওয়াইবিএএফআই) ও ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সোসাইটির (আইওয়াইএস) পক্ষ থেকে এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ জন তরুণকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ দেশের বা সমাজের মানুষের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী তরুণদের মধ্য থেকে কয়েকটি ধাপে বাছাই করে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়।

২০১৩ সাল থেকে দেশে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছেন পলাশ মাহমুদ। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় কনসাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি ও এর যুব শাখা কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ। সংগঠনটির বর্তমানে ২৬টি শাখা রয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী এই সংগঠনের সদস্য হয়ে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

চলতি বছরের মে মাসে ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে সিসিএসের পক্ষে পলাশ মাহমুদ রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নামীদামি কোম্পানির ৫২টি পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তা বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন বিষয়টি দেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়।

পলাশ মাহমুদ বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সোসাইটি বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর, থাইল্যান্ডের ও-ইয়েস ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর, সুইডেনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড পিস কনফারেন্সের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি থাইল্যান্ডের ও-ইয়েস ফাউন্ডেশনের সেরা কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর পুরস্কার পান। এর আগে ২০১৭ সালে তিনি নেপালে সম্মাননা পান।

পলাশ মাহমুদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক (২০১১) ও স্নাতকোত্তর (২০১৩) সম্পন্ন করেন। ছাত্রজীবনে তিনি মিস্টার হিস্ট্রি, বিভাগীয় ছাত্রসংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও সভাপতি (২০১১) হিসেবে নির্বাচিত হন।