সুখাতীর শিশুদের পাশে পুলিশ সুপার

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সুখাতী গ্রামে গড়ে ওঠে ‘সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়’ পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। ছবি: লেখক
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সুখাতী গ্রামে গড়ে ওঠে ‘সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়’ পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। ছবি: লেখক

‘বিশেষ শিশু, বিশেষ অধিকার’—এ স্লোগানকে নিয়ে ২০১৫ সালে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সুখাতী গ্রামে গড়ে ওঠে ‘সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়’। এবার বিদ্যালয়টির পাশে দাঁড়ালেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।

গতকাল সোমবার বিদ্যালয়টির পরিদর্শনে গিয়ে বিদ্যালয়ের সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে নগদ অর্থ প্রদান করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।

সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়টি শুরু থেকে নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে চলছে। কুড়িগ্রামের অন্যান্য সরকারি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর থেকে এ বিদ্যালয়ের শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক আধুনিক সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি এখানকার শিক্ষকেরা নিজেরা সরাসরি শিশুদের সঙ্গে মিশে, তাদের বন্ধু হয়ে নানা বিষয়ে পাঠদান দিচ্ছেন। নানা সংগ্রাম পেরিয়ে বিদ্যালয়টি চলে আসছে জেনে এবার বিদ্যালয়টির পাশে দাঁড়ালেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। তিনি সোমবার দুপুরের দিকে বিদ্যালয়টির পরিদর্শনে যান। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শিশুদের দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। বিদ্যালয়টির পাশে থাকার আশ্বাস দেন প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে। পরে তিনি বিদ্যালয়ের সরঞ্জাম কেনার জন্য তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ প্রদান করেন। প্রথম প্রাপ্তি পেয়ে খুশি সুখাতীর শিশুরা

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের সোনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিটি নাগরিকের উচিত এসব শিশুদের পাশে দাঁড়ানো।’ এসব শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।

‘সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়’টিকে অর্থসহায়তা দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। ছবি: লেখক
‘সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়’টিকে অর্থসহায়তা দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। ছবি: লেখক

সুখাতী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আমাদের এক শিশু খুশিকে দোয়া করেন এবং ওর হেয়ারিং এইড কেনার জন্য নগদ অর্থ ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করেন। আমাদের খুশি এখন শুনতে পাবে, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি দিলে সে কথাও বলবে ইনশা আল্লাহ।’