সিএনজিতে জুয়েলের ফুলবাগান

কার্পেটিং ও গাছ লাগাতে কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়েছে জুয়েল মিয়ার। ছবি: লেখক
কার্পেটিং ও গাছ লাগাতে কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়েছে জুয়েল মিয়ার। ছবি: লেখক

চারদিকে যখন ক্রমেই কমছে বনভূমি, মানুষ যখন অপরিণত হয়ে কেটে ফেলছে গাছপালা, তখন সবুজকে রক্ষা করতে, গাছপালা রক্ষা করতে জুয়েল মিয়া (২২) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন।

জুয়েল নিজের সিএনজিতে করেছেন ফুলের বাগান। তাতে লেখা গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। সিএনজির হুডের ওপর কৃত্রিম ঘাসের কার্পেটিং করে মাঝখানে বসিয়েছেন বিভিন্ন ফুলের চারা।

কথা হয় জুয়েলের সঙ্গে। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আরিফপুর এলাকার বাসিন্দা জুয়েল থাকেন নগরীর রেসকোর্স এলাকায়। কীভাবে এমন উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহী হলেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মানুষ এখন গাছপালা কেটে শুধু বিল্ডিং তুলছে। গাছপালা রক্ষায় মানুষ যাতে সতর্ক হয়, তাই আমার এমন উদ্যোগ। আর আমার বাড়ির জানালার পাশে বেয়ে ওঠা একটা লতা দেখে (গুল্মবৃক্ষ) আমার খুব ভালো লেগেছিল। পরে আমি ভাবলাম আমার সিএনজিতেও এমন কিছু করি যাতে মানুষ সতর্ক হয়।’

বাড়ির জানালার পাশে বেয়ে ওঠা লতা দেখে সিএনজিতেও গাছপালা লাগানোর চিন্তা মাথায় আসে জুয়েল মিয়ার। ছবি: লেখক
বাড়ির জানালার পাশে বেয়ে ওঠা লতা দেখে সিএনজিতেও গাছপালা লাগানোর চিন্তা মাথায় আসে জুয়েল মিয়ার। ছবি: লেখক

কথায় কথায় জানালেন কার্পেটিং ও গাছ লাগাতে কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়েছে জুয়েলের। কোনো ধরনের প্রণোদনা ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজের খরচে এটি তৈরি করেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, তাঁর সিএনজিতে গরিব, অসহায় ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য যাতায়াত খরচ সম্পূর্ণ ফ্রি। জুয়েলের ইচ্ছা, তাঁর এমন মহৎ উদ্যোগ দেখে আরও অনেকে পরিবেশ ও গাছপালা রক্ষায় উৎসাহী ও সচেতন হবেন।