ঢাবি বিশ্ব দর্শন দিবস বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিতর্ক ধারার আয়োজন ‘দর্শন দিবস ৪র্থ আন্তবিশ্ববিদ্যালয়’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরাদের সেরা হয়েছে ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের বিতর্ক দল। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিতর্ক ধারার আয়োজন ‘দর্শন দিবস ৪র্থ আন্তবিশ্ববিদ্যালয়’ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরাদের সেরা হয়েছে ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের বিতর্ক দল। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব দর্শন দিবসকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের বিতর্ক সংগঠন দর্শন বিতর্ক ধারার উদ্যোগে ‘দর্শন দিবস ৪র্থ আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের বিতর্ক দল। গত ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগভিত্তিক ৩২টি দল অংশগ্রহণ করে।

১৯ নভেম্বর হয় ট্যাব রাউন্ডের বিতর্ক। ২০ নভেম্বর কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল শেষে প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের বিতর্ক দল। প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের বিতর্ক দল।

চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন মেঘমল্লার বোস, জান্নাতুল নাঈম শিম্মী ও রোমান উদ্দিন। রানার্সআপ দলের সদস্যরা হলেন আবদুল্লাহ আল নোমান, জুয়েল আরেফিন ও মারুফ হাসান। প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক ও একই সঙ্গে ফাইনালের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য মেঘমল্লার বোস। ২১ নভেম্বর বিশ্ব দর্শন দিবসের দিনে পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বিতার্কিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

বর্তমান বিশ্বের একটি উল্লেখযোগ্য সমস্যা মানুষের মাঝে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব। ইউনেসকোর মতে, দর্শনের জীবনবোধ, নীতি নৈতিকতা, মানবিকতা, নান্দনিকতা, যুক্তিবোধ ও মননশীলতা বর্তমান বিশ্বের নানাবিধ সংকট ও সমস্যা থেকে মানবজাতিকে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের সন্ধান। আর এ লক্ষ্যেই জাতিসংঘের ইউনেসকো ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর প্রথমবার দর্শন দিবস ঘোষণা করে। ইউনেসকোর তৎকালীন ডিরেক্টর জেনারেল কইচিরো মাতুসুয়ারা বিশ্ববাসীর প্রতি এক বার্তা প্রেরণ করেন যাতে ফুটে উঠেছে দর্শন বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য। এ দর্শন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তরুণ সমাজ তথা বিশ্ববাসীর মাঝে যে প্রভাব ফেলে, তা পর্যবেক্ষণ করে ২০০৫ সালের ইউনেসকোর সাধারণ সম্মেলনে নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দর্শন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর থেকে ইউনেসকোর আহ্বানে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব দর্শন দিবস। এ দিবসে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে দর্শন বিতর্ক ধারা।

*আসাদুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়