মাঠ সংস্কার করে ফুটবলে মেতে উঠলেন পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি বেশ কিছুদিন ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। সংস্কারের পর এখনো মাঠে সবুজ ঘাসের দেখা মেলেনি। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে অন্তবিভাগ ফুটবল উৎসব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ উৎসবে অংশ নিয়েছে ৫টি অনুষদের ২০টি দল।

গত ২৩ নভেম্বর উপাচার্য ড. এম রুস্তম আলী অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ–উপাচার্য ড. আনোয়ারুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ, প্রক্টর ড. প্রীতম কুমার দাস, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আজহাজ কামিল হোসেন প্রমুখ। ১৬ ডিসেম্বর একই মাঠে কৃত্রিম আলোয় ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

উদ্বোধনী ম্যাচে পরিসংখ্যান বিভাগকে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে অর্থনীতি বিভাগ। চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিটি দল প্রথম পর্বে চারটি করে ম্যাচ খেলবে। ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল অংশ নেবে দ্বিতীয় পর্বে। নকআউট ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে সেমিফাইনালের দল। প্রতিটি ম্যাচ ৫০ মিনিট করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

খেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য বিল্লাল হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের যুবসমাজ বিপথে পা বাড়াচ্ছে, মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। আমরা মনে করি, মাদকাসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখার ক্ষেত্রে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের পুনরায় খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এ ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

নিজের বিভাগকে সমর্থন জানাতে মাঠে এসেছিলেন রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মো. ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর পরে ক্যাম্পাসে এত বড় পরিসরে কোনো টুর্নামেন্ট হচ্ছে। শুধু আমি নই, প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকেরাই নিজদের দলকে সমর্থন জানানোর জন্য মাঠে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠটি যেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।’

টুর্নামেন্টে মোট ৪৭টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সূচি অনুযায়ী কোয়ার্টার ফাইনাল হবে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল হবে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর। আর ফাইনাল হবে ১৬ ডিসেম্বর।