ইএমকে সেন্টারে তারুণ্যের চোখে মানবাধিকার সম্মেলনের আয়োজন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার ইএমকে সেন্টারে তারুণ্যের চোখে মানবাধিকার শীর্ষক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার ইএমকে সেন্টারে তারুণ্যের চোখে মানবাধিকার শীর্ষক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস (১০ ডিসেম্বর) উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার ইএমকে সেন্টারে তারুণ্যের চোখে মানবাধিকার শীর্ষক সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তরুণদের যুক্ত করে আরও কথা বলতে হবে। তরুণদের মনে প্রশ্ন তুলতে হবে। নিজের অধিকার সম্পর্কে যেমন কথা বলতে হবে, তেমনি অন্যের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণেরা অংশ নেন। সমাবেশে মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় ও সামাজিক অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করেন বক্তারা। ঢাকার ইএমকে সেন্টারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

সম্মেলনের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন আইক্যান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সুফি চিত্রশিল্পী আইরিন খান, সাইকোসোশ্যাল স্কুল মনের বন্ধুর প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী তৌহিদা শিরোপা এবং মেন ফর মেনুস্ট্রেশন সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও আইনজীবী নিশাত আনজুম।

সামাজিক গবেষক ও লেখক আইরিন খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের যেমন দায়িত্ব, তেমনি একজন মানুষ হিসেবে অন্যকে সম্মান করা, অন্যের অধিকার সম্পর্কে নিজে সচেতন হওয়াও দায়িত্ব। নিজের অধিকার সম্পর্কে যেমন কথা বলতে হবে, তেমনি অন্যের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তরুণদের বিভিন্ন সামাজিক অপরাধে জড়িত হওয়ার কারণ হিসেবে সামাজিক অধিকার সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষের অজ্ঞতাই অপরাধ বাড়ায় বলে মনে করেন তিনি।

মানবাধিকারের সঙ্গে মানসিক শক্তি ও সমাজের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান জড়িত বলে মনে করেন তৌহিদা শিরোপা। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিজীবনের অশান্তি ও অস্বস্তিগুলোই আমাদের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থানকে দুর্বল করে দেয়। দুর্বল মন, নেতিবাচক মনের মানুষ সব সময়ই মানবাধিকার রক্ষায় বাধা।’

মানবাধিকার শীর্ষক সম্মেলন অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণেরা। ছবি: সংগৃহীত
মানবাধিকার শীর্ষক সম্মেলন অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণেরা। ছবি: সংগৃহীত

আইনজীবী নিশাত আনজুম বলেন, তরুণেরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয় বলেই অন্যের অধিকার নিয়ে ভাবছে না। স্কুলপর্যায় থেকে নৈতিকতা শেখানোর পাশাপাশি মানবাধিকারের বিষয়গুলো সম্পর্কে জানানো ভীষণ প্রয়োজন।

ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আসিফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের মানবাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তরুণদের যুক্ত করে আরও কথা বলতে হবে। তরুণদের মনে প্রশ্ন তুলতে হবে। প্রশ্ন তুললেই ভাবনার জায়গায় নাড়া দিতে পারব আমরা।’

সম্মেলনে মানবাধিকারবিষয়ক বিভিন্ন আইন, সামাজিক অবস্থান, কেস স্টাডি, সম্ভাব্য সমাধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে ইএমকে সেন্টারের এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ কো-অর্ডিনেটর শারমিন আক্তার শাকিলা, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাওমান স্মিথা, ইএমকে সেন্টারের এডুকেশন ইউএসএর এডুকেশনাল কাউন্সিলর রিজোয়ান সিদ্দিক, সামাজিক সংগঠক ইপসিতা সিদ্দিক, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফেলো জাহিদ হোসাইন খান, হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিচালক তওসীফ তানজিম আহমেদসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আগামী এক দশকে মানবাধিকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেমন হতে পারে, তা নিয়ে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন অংশগ্রহণকারীরা।