ব্যাটেল অব মাইন্ডসে চ্যাম্পিয়ন আইবিএর 'দ্য বিটেলস'

‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’-এ এই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইবিএর শিক্ষার্থীদের দল ‘দ্য বিটেলস’। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’-এ এই বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আইবিএর শিক্ষার্থীদের দল ‘দ্য বিটেলস’। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও রিক্রুটমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০১৯’–এর ১৬তম আসরের বহুল প্রতীক্ষিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে এ বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) শিক্ষার্থীদের দল ‘দ্য বিটেলস’।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডসে এ বছর প্রথম রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের (বিইউপি) শিক্ষার্থীদের দল ‘নাউ ইউ সি আস’ এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে আইবিএর ‘থ্রি হর্সম্যান’।

গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের যেমন মেধা যাচাই হয়, তেমনি দেশের উন্নয়নেও নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়।

‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং করপোরেট জগতের অভিজ্ঞতার সেতুবন্ধ তৈরি করে। বাংলাদেশের তরুণদের উৎকর্ষ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে এই প্ল্যাটফর্ম অঙ্গীকারবদ্ধ।

ব্রিটিশ–আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটি বাংলাদেশ) ২০০৪ সাল থেকে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। এ বছর ১৬তম আসরেও ছিল শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী কৃষি, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, প্রকৌশলী এবং ব্যবসায় বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন পদক্ষেপে অনলাইন ও অফলাইনের মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধান এবং সামাজিক কাঠামোয় অবদান রাখার পথ তৈরি করা হয়। গ্র্যান্ড ফিনালের মধ্য দিয়ে মূল পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন তাঁরা। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ লড়াইয়ের মাধ্যমে সেরা ১৫ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।

বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম বলেন, ব্যাটেল অব মাইন্ডস শিক্ষার্থীদের একটি সুযোগ তৈরি করে দেয় নিজেদের প্রতিভা ও ভাবনাকে উন্মোচিত করার। এর ফলে শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হয়, তেমনি দেশের টেকসই উন্নয়নেও রাখে প্রভাব।