ইউল্যাবে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সেমিনার

নেহা কপিলের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
নেহা কপিলের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প নিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের অভিজ্ঞতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও পেশাদার ব্যক্তিদের মধ্যে আলাপচারিতা অত্যন্ত জরুরি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) স্থায়ী ক্যাম্পাসে গত সোমবার এ আলোচনা সভা হয়। এর আয়োজন করে ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম মাস্টার্স ইন কমিউনিকেশন এবং ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিসার্চ (আইএএমসিআর)।

ইউল্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাস্টার্স ইন কমিউনিকেশন প্রোগ্রামের সমন্বয়ক ড. সরকার বারবাক কারমালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউল্যাবের সহ-উপাচার্য সামসাদ মোর্তজা। তিনি বলেন, চারপাশে কী হচ্ছে, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিজ্ঞদের সংযোগ ইউল্যাব সব সময় করে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প নিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের অভিজ্ঞতা শীর্ষক আলোচনা সভায় ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষকেরা। ছবি: সংগৃহীত
রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প নিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফের অভিজ্ঞতা শীর্ষক আলোচনা সভায় ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষকেরা। ছবি: সংগৃহীত

ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো ফোরামের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম কেবল শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, শিক্ষার পূর্ণতার জন্য শিক্ষার্থী ও পেশাদার ব্যক্তিদের মধ্যে এ ধরনের আলাপচারিতা অত্যন্ত জরুরি। পরে তিনি আমন্ত্রিত বক্তা ইউনিসেফ বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্টের প্রধান নেহা কপিলের সঙ্গে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাঁর দলের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন নেহা কপিল। এ সময় তিনি ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউনিসেফের নানা কার্যক্রমের বর্ণনা দেন। এসব কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটের কথা তুলে ধরে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কাজ করতে কী ধরনের প্রস্তুতি দরকার, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন তিনি। নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর জন্য নয়, বরং মানবতার পক্ষে ইউনিসেফ সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন নেহা কপিল। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটের ক্ষেত্রে যে ধরনের অবস্থান নিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আলোচনার শেষ অংশে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দেন তিনি।

আলোচনা শেষে নেহা কপিলের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।