ইতিহাস উৎসবে পুরস্কার পেল ২০ জন

দ্বিতীয় ইতিহাস উৎসবে বিজয়ী প্রথম তিনজনকে প্রাইজমানি, ক্রেস্টসহ ২০ জনকে গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ছবি: লেখক
দ্বিতীয় ইতিহাস উৎসবে বিজয়ী প্রথম তিনজনকে প্রাইজমানি, ক্রেস্টসহ ২০ জনকে গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ছবি: লেখক

মহান বিজয়ের মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইতিহাস উৎসব আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকার স্কুল ও কলেজের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে। উৎসবে বিজয়ী প্রথম ৩ জনকে প্রাইজমানি, ক্রেস্টসহ ২০ জনকে গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশের ইতিহাসচর্চাকে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষাবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ‘এডুকেশন ওয়াচ’-এর উদ্যোগ ও আইসিসির সহযোগিতায় রাজধানীর ফার্মগেট আইডিয়াল কমার্স কলেজ ক্যাম্পাসে এ উৎসব হয়।

জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলন এবং এডুকেশন ওয়াচের দ্বিতীয় ইতিহাস উৎসব পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে আয়োজনের উদ্বোধন করেন ইতিহাসবিদ ও সাবেক সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও এম এ হালিম পাটোয়ারী।

‘তোমার হাতেই আগামীর বাংলাদেশ’ দ্বিতীয় ইতিহাস উৎসবের স্লোগান। শিক্ষার্থীদের কাছে ইতিহাসচর্চাকে জনপ্রিয় করে তোলাই ছিল এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। মহান মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বাংলা ভাষা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সর্বোপরি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়ানোর জন্যই মূলত অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইতিহাস উৎসবে ঢাকার স্কুল ও কলেজের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। উৎসবে বিজয়ী প্রথম ৩ জনকে প্রাইজমানি, ক্রেস্টসহ ২০ জনকে গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ছবি: লেখক
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইতিহাস উৎসবে ঢাকার স্কুল ও কলেজের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। উৎসবে বিজয়ী প্রথম ৩ জনকে প্রাইজমানি, ক্রেস্টসহ ২০ জনকে গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। ছবি: লেখক

নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপলব্ধি এবং বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস জানার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্বোধনের পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

কুইজভিত্তিক এ প্রতিযোগিতা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কুইজের বিষয় ছিল বাংলাদেশের ইতিহাস ১৯৪৭-৭১। পাশাপাশি আরও ছিল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আইডিয়াল কমার্স কলেজের সভাপতি এম এ হালিম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইতিহাসবিদ ও সাবেক সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ আলোচকের বক্তব্য দেন আইডিয়াল কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা ও স্বাগত বক্তব্য দেন এডুকেশন ওয়াচের সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে আইডিয়াল কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রথম ৩ জনকে প্রাইজমানি, ক্রেস্টসহ ২০ জনকে গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।