দর্শনার্থীদের ফেলা ময়লায় ভরে থাকে স্মৃতিসৌধ এলাকার চারপাশ

জাতীয় স্মৃতিসৌধের লেকের পাড়ের দৃশ্য। সাভার, ২৬ ডিসেম্বর। ছবি: লেখক
জাতীয় স্মৃতিসৌধের লেকের পাড়ের দৃশ্য। সাভার, ২৬ ডিসেম্বর। ছবি: লেখক

আমরা বোধ হয় পরিষ্কার এলাকা ময়লা করতে পছন্দ করি। কেউ পরিষ্কার করতে রাজি নই। বিজয়ের মাসে স্মৃতিসৌধ এলাকা দেখলে এটা বোঝা যায়। পুরো এলাকার অনেক জায়গায় বাদামের খোসা, কাগজের ঠোঙা ইত্যাদি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

ঢাকার সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের অপরিসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার এক উজ্জ্বল স্মারক। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ধুয়েমুছে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছিল সবুজে ঘেরা ১০৯ একরের স্মৃতিসৌধ। তবে বিজয় দিবসের ১০ দিন না পেরোতেই চোখে পড়ল অন্য চিত্র। সৌধ এলাকার চারপাশে পড়ে আছে কাগজ, বাদামের খোসা, ঠোঙা, সিগারেটের পরিত্যক্ত প্যাকেট। ময়লা ফেলার বক্সের পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা। এ ময়লা দর্শনার্থীদের ফেলা। আমরা কেউই ময়লা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলছি না।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার দৃশ্য, ২৬ ডিসেম্বর। ছবি: লেখক
জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার দৃশ্য, ২৬ ডিসেম্বর। ছবি: লেখক

স্মৃতিসৌধের লেকগুলোর পাশেই ফেলা হয়েছে পরিত্যক্ত আবর্জনা। বিরিয়ানির প্যাকেট, কোল্ড ড্রিংকসের বোতলসহ বিভিন্ন আবর্জনায় লেকের পাড় ঘিরে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও স্মৃতিসৌধ চত্বরের উন্মুক্ত মঞ্চ, অভ্যর্থনা কক্ষ, মসজিদ, হেলিপ্যাড, ক্যাফেটেরিয়া ও লাল ইটের রাস্তায় পড়ে আছে প্লাস্টিকের বোতল, ঠোঙা, কফির কাপ, চিপস-ভুট্টার প্যাকেট।

উন্মুক্ত মঞ্চের পাশে খাবারের প্লেট, প্লাস্টিকের পলিথিন ও কাগজের ঠোঙায় ভরা। ছবি: লেখক
উন্মুক্ত মঞ্চের পাশে খাবারের প্লেট, প্লাস্টিকের পলিথিন ও কাগজের ঠোঙায় ভরা। ছবি: লেখক

সাভার গণপূর্ত শাখা অফিস, জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রহরী জালাল উদ্দীন বলেন, পরিষ্কার প্রতিদিনই করা হয়। সকাল ৮টার পর থেকে ঝাড়ু দেওয়া হয়।

আসলে ঝাড়ুর পরে যদি দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট ময়লার বক্সে ময়লা ফেলতেন, তাহলে এলাকাটি পরিপাটি থাকত।