কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাহাড় কেটে প্রস্তুত হচ্ছে সমাবর্তন মাঠ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় মাঠের পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে ফেলা হচ্ছে। ছবি: লেখক
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় মাঠের পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে ফেলা হচ্ছে। ছবি: লেখক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন দাঁড়িয়ে আছে উঁচু-নিচু পাহাড়ের ওপর। ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন। এ অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মাঠের পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে ফেলা হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় হারাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

গতকাল শনিবার বিকেলে দেখা যায়, সমাবর্তন সামনে রেখে মাঠের উত্তর পাশের পাহাড় কাটছেন কয়েক শ্রমিক। মাটি ট্রাক্টর দিয়ে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। ওই মাটি কেন্দ্রীয় মাঠের নিচু অংশ ভরাটের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর আগেও পাহাড়টি কাটা হয়েছে। বর্তমানে এর নিচের অংশ বেশি কাটায় যেকোনো সময় ধসে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

পাহাড় কাটা সম্পর্কে কাদের নির্দেশনা রয়েছে, তা জানতে চাইলে শ্রমিকদের কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। তারপর যেখানে মাটি নিয়ে ভরাট করা হচ্ছে, সেখানে কয়েকজন শ্রমিককে জিজ্ঞেস করলে প্রকৌশলী মো. আবদুল লতিফের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে কাজের দায়িত্বে থাকা মো. আবদুল লতিফ বলেন, এটা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। পাহাড়ের নিচের অংশ কেটে এখানে ড্রেনের লাইন করা হবে বলে জানান তিনি।

ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মাঠের পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে ফেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হারাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ছবি: লেখক
ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মাঠের পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে ফেলায় বিশ্ববিদ্যালয় হারাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ছবি: লেখক

এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্যাম্পাস নিয়ে গর্ব করি। অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।’

শিক্ষার্থীরা বলেন, লাল পাহাড় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য। একে রক্ষা করা প্রশাসনের দায়িত্ব।

পাহাড় কাটার কোনো নির্দেশনা প্রশাসন থেকে ছিল কি না, তা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, সমাবর্তনের মাঠকে প্রস্তুত করার জন্য পাহাড়ের নিচে মাটির যে অংশটুকু ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে তা পরিষ্কার ও নিচু জায়গা ভরাট করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পাহাড় পর্যাপ্ত কেটে নষ্ট করার কথা কিছু বলা হয়নি। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা বলা হবে।