কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে নানা সমস্যা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
নোংরা শৌচাগার আর বিশ্রামকক্ষ। বিশ্রামকক্ষের দখলে ছিন্নমূল মানুষ। অপর্যাপ্ত ওয়েটিং চেয়ারসহ নানা অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন।
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এমন চিত্রই দেখা গেল। স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভিক্ষুকের জ্বালায় বিরক্ত অনেক যাত্রী। দেখা গেল সেখানে ছাগলও ঘুরছে। প্ল্যাটফর্মে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও মাঝেমধ্যে মোটরসাইকেলের দেখাও মিলল।
যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত বিশ্রামকক্ষে ঢুকলে শৌচাগারের দুর্গন্ধে বমি আসার জোগাড় হবে যে কারও। যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত চেয়ারের কয়েকটি ছিন্নমূল মানুষের দখলে। সেখানকার মেঝেতে শুয়ে আছেন অনেক ছিন্নমূল মানুষ। তাই যাত্রীরা দাঁড়িয়ে থাকেন বিশ্রামকক্ষের বাইরে।
কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাবেন ফয়সাল নামের এক যাত্রী। মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেসের জন্য প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন তিনি। স্টেশনের দুরবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাব। এখানে ওয়েটিংরুমগুলোর অবস্থা বাজে। টয়লেটের গন্ধে বসা যায় না। তাই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আছি।’
কথা হয় সিলেট থেকে আসা এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লা থেকে সিলেটে নিয়মিত যাতায়াত করি। এখানে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ভিক্ষুকের জন্য দাঁড়ানো যায় না। ছোট-ছোট বাচ্চাগুলা আইসা পা ধইরা রাখে। প্রায়ই খুবই বিব্রতকর অবস্থার মধ্য পড়ি।’
এসব সমস্যার বিষয়ে কথা বলতে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. সফিকুর রহমান ভূঁইয়ার কক্ষে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে তাঁর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অনুসন্ধানকক্ষের কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, শুক্রবার বলেই বিকেলে তিনি (স্টেশন মাস্টার) আসেননি এখনো। খেয়ে বিশ্রাম করছেন হয়তো। সন্ধ্যার পর হয়তো আসবেন।