কুড়িগ্রামে 'উলিপুর লোকজ উৎসব' শুরু শনিবার

‘শিকড়ের সন্ধানে উৎসবে মাতি’ স্লোগানকে ধারণ করে ১১ জানুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী ‘উলিপুর লোকজ উৎসব ১৪২৬’ শুরু হতে যাচ্ছে। ছবি: লেখক
‘শিকড়ের সন্ধানে উৎসবে মাতি’ স্লোগানকে ধারণ করে ১১ জানুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী ‘উলিপুর লোকজ উৎসব ১৪২৬’ শুরু হতে যাচ্ছে। ছবি: লেখক

‘শিকড়ের সন্ধানে উৎসবে মাতি’ স্লোগানকে ধারণ করে আগামী শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে তিন দিনব্যাপী ‘উলিপুর লোকজ উৎসব ১৪২৬’ শুরু হতে যাচ্ছে। কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে ‘উলিপুর লোকজ উৎসব পরিষদ’-এ আয়োজন করতে যাচ্ছে।

গ্রামবাংলার লোকজ সংস্কৃতি, হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্যকে স্মরণ এবং হারিয়ে যাওয়া লোকজ সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা আর গুণীজনদের সম্মাননা জানাতে অনুষ্ঠিত হবে লোকজ এ উৎসব।

উৎসব পরিষদের আহ্বায়ক রথীন্দ্র প্রসাদ পান্ডের সভাপতিত্বে লোকজ উৎসব উদ্বোধন করবেন কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনের সাংসদ অধ্যাপক এম এ মতিন। মঞ্চে থাকবেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ পনির উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উলিপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতিসেবী অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হরি গোপাল সরকার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার প্রমুখ।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে ‘উলিপুর লোকজ উৎসব পরিষদ’-এর আয়োজনে হতে যাচ্ছে লোকজ উৎসব। ছবি: লেখক
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে ‘উলিপুর লোকজ উৎসব পরিষদ’-এর আয়োজনে হতে যাচ্ছে লোকজ উৎসব। ছবি: লেখক

১১ জানুয়ারি প্রথম দিনের আয়োজনে বেলা ১১ টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, দুপুর ১২ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, উৎসব উদ্বোধন ও স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, ১২ টা ৩০ মিনিটে আলোচনা সভা, বেলা ২টায় লাঠি খেলা। বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে জারি গান, ৩টায় সংগীত প্রতিযোগিতা, সন্ধ্যা ৬টায় সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, রাত ৯ টায় যাত্রাপালা।

১২ জানুয়ারি দ্বিতীয় দিনের আয়োজনে বেলা ১১টায় লোকজ সংগীত প্রতিযোগিতা, বেলা ২টায় লাঠি খেলা, বেলা আড়াইটায় জারি গান, ৩টায় লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা, ৪টায় পালা গান, সন্ধ্যা ৬টায় সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

১৩ জানুয়ারি সমাপনী আয়োজনে বেলা ১১ টায় সংগীত প্রতিযোগিতা চূড়ান্তপর্ব, ৩টায় আলোচনা সভা, সন্ধ্যা ৬টায় পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

উলিপুর লোকজ উৎসব পরিষদের আহ্বায়ক রথীন্দ্র প্রসাদ পান্ডে জানান, অনুষ্ঠান সফল করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।