বুড়িমারী স্থলবন্দরে নিত্য যানজটে অসহনীয় ভোগান্তি

লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের যেখানে-সেখানে ট্রাক পার্কিংয়ের কারণে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। ছবি: লেখক
লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের যেখানে-সেখানে ট্রাক পার্কিংয়ের কারণে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ। ছবি: লেখক

মুখে মাস্ক ও চোখে সানগ্লাস ছাড়া লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের সড়কে চলাচল করা দুষ্কর। ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদেশিরা এ স্থলবন্দর দিয়ে দেশের পরিবেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। এ ছাড়া বুড়িমারি স্থলবন্দরে যেখানে-সেখানে রাস্তায় ট্রাক পার্কিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন পড়ছেন নানা অসুবিধায়।

বর্তমানে স্থলবন্দরটিতে প্রতিদিন ট্রাকে করে পাথরসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে ভারতে। সঙ্গে ফলের ব্যবসা তো আছেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় কারণে বন্দরটি অল্প সময়ে পরিচিতি লাভ করে।

কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, প্রতিদিন হাজারো ট্রাক যাতায়াত করে এই বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকায়। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এসব ট্রাক বন্দর এলাকার বিভিন্ন রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। আর এতে করে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এই যানজটের কারণে চলাচলের সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়াও এসব মালবোঝাই ট্রাকের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারী ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের।

শুধু সাধারণ মানুষ ও স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীরা নয়, এ সড়ক দিয়ে উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী নিয়ে যেতে হয়। মাঝেমধ্যে যানজটের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদেরও। বন্দরের ব্যবসায়ীদের দাবি, এ বন্দরে একটি স্থায়ী ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে কমবে যানজট।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রতিদিন ট্রাকে করে পাথরসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি হচ্ছে। ছবি: লেখক
বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রতিদিন ট্রাকে করে পাথরসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি হচ্ছে। ছবি: লেখক

ট্রাকচালকেরা জানান, চাহিদার তুলনায় ট্রাক রাখার জন্য টার্মিনালে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই মাঝেমধ্যে রাস্তার পাশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখেন তাঁরা। পাথর লোড করার পর চালানের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। চালান না মিললে যেতে পারেন না তাঁরা। এটা তাঁদের জন্যও ভোগান্তির।

বুড়িমারী কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য বলেন, ‘জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে শুরু করে বন্দরের ঘুন্টি পর্যন্ত রাস্তাটি প্রশস্ত ও একটি বড় ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে আমদানি-রপ্তানি আরও বাড়বে। আমরাও ব্যবসা-বাণিজ্য করে একটু শান্তি পাব। সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের এ বুড়িমরী স্থলবন্দরের দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য। যাতে আমরা ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারি, পাশাপাশি জনগণও ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।’

ওই সদস্য বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পাটগ্রাম পর্যন্ত পুরো রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এটি শেষ হলে সমস্যা কমবে বলেও তিনি আশা করেন।